প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ২১:১৭
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ১৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাচ্ছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। পুলিশ কে সরিয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে (এপিবিএন) কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে এসব ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্ব। ডেপোটেশনে আসা পুলিশ পরিদর্শকদের দায়িত্ব পালনে অনীহার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
অধস্তন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিংবা সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) এসব নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করার সুযোগ থাকত না। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মূল ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন না করায় শরণার্থী শিবিরে কর্মরত অন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও ঢিলেঢালা ভাব দেখা যায়। বিশেষ করে বিকাল ৪টার পর বাংলাদেশের প্রশাসনের কোনো প্রভাবই থাকে না রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে। তখন এটা হয়ে উঠে একখ- মিনি আরাকান। এ সময় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ইচ্ছেমতো বের হয়। তারা নিজেদের মতো করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
পুরুষরাও এলাকায় শ্রমিকের কাজসহ সব কিছু করছে। শরণার্থী শিবিরের ভেতরে বড় বড় ডাকাতদল গড়ে উঠেছে। স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক গরিব লোক নতুন করে রোহিঙ্গা মেয়েদের গোপনে বিয়ে করা শুরু করেছে।জানা যায়, বিষয়টি জানার পর বর্তমান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজির আহমেদ পুরো পদ্ধতিই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি শরণার্থী শিবির থেকে জেলা পুলিশকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করে সেখানে এপিবিএন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য কক্সবাজার শহরে দুটি ব্যাটালিয়ন স্থাপন করা হয়।