প্রকাশ: ২২ জুন ২০২০, ২:৫৫
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের সুমন নামের এক কলেজ ছাত্রকে একই এলাকার মিঠু নামের তাঁর এক বন্ধু হত্যা করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত মিঠুকে সোমবার পুলিশ গ্রেফতার করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের আট নাম্বার ওয়ার্ডের মোশারেফ মোল্লার সুপারী বাগান থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(লালমোহন সার্কেল) মো. রাসেলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।সুমন ওই এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মফিজুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলার সরকারি আবদুল জব্বার কলেজের ডিগ্রী তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
গ্রেফতার হওয়া মিঠু পক্ষিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিমউদ্দিনে ছেলে। সে স্থানীয় বোরহানগঞ্জ বাজারে ওয়ার্কশপের দোকান করে।
সুমনের মা মমতাজ বেগম ও মামী জান্নাত বেগম জানান, শনিবার রাত আটটার দিকে সুমন তাঁর খালাতো ভাই সজিব ও সোহেলের সাথে স্থানীয় বোরহানগঞ্জ বাজারে যায়। ওই সময় সুমনের ফোনে একটি কল আসে। সজিব ও সোহেলকে অপেক্ষা করতে বলে সুমন কোথায় যেন যায়। অনেক সময় হয়ে গেলে ১ ঘন্টা পর সজিব সুমনকে কল করে। তখনও সুমন অপেক্ষা করতে বলে। রাত ১০ টার দিকে সজিব ফের ফোন করলে তাঁর ফোন বন্ধ পায়। এক সময় তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে সকলকে জানায়। তাঁরা আরো জানান, সুমনকে না পাওয়া যাবার পর মিঠু সহ তাঁর বন্ধু বান্ধবের বাড়িতে খোঁজ করেন। কেউ সন্ধান দিতে না পারায় রবিবার(২১ জুন) বোরহানউদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। ডায়রী নাম্বার-৭৯১। তাঁরা সুমন হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। স্থানীয়রা জানান, মিঠুর বিরুদ্ধে মানুষকে মারধর, মাথা ফাটিয়ে ফেলা সহ একাধিক চুরির অভিযোগ আছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এনামুল হক জানান, সোমবার দুপুরে পুলিশ সুমনের ফোন কল ট্রাকিং করে মিঠু নামে এক যুবককে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাঁর দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে।