প্রকাশ: ২২ মে ২০২০, ২০:২
সুপার সাইক্লোন “আম্পান” এর কারণে পিরোজপুর জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান শুরুর পরে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় দুই জন এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় একজন মারা গেছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে জানান জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম।
নিহতরা হলো মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা (৫৫) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামে মৃত মুজাহার বেপারীর স্ত্রী গোলেনুর বেগম (৭০) এবং ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর এলাকার মৃত মতিউর রহমানের পুত্র শাহ আলম (৫০)।
জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যার পরে তিনি কলেজের পিছনে বাসায় যাওয়ার পথে দেয়াল ভেঙে তার ওপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।এদিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামের গোলেনুর বেগম নামের এক বৃদ্ধা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ঝুঁকিপূর্ণ ঘর থেকে পাশের ঘরে যাওয়ার পথে বাতাসের তীব্রতায় পা পিছলে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অপরদিকে রাতে ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর গ্রামে শাহ আলমের বাড়িতে পানি প্রবেশ করলে ঘরেই আতঙ্কীত হয়ে সে ঘরের ভিতরে মারা যায়।
এছাড়া ধান ও বিভিন্ন প্রজাতির রবিশস্যসহ কমপক্ষে ৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্তত ১ কিলোমিটার বেড়িবাধ ভেঙে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর ৬ হাজার ৭৫৫টি মাছের ঘের/পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কাঁচাপাকা ২৫ কিলোমিটার রাস্তা। আর কাঁচাপাকা মিলিয়ে ২৩৪৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর প্রভাবে দিনের বেলায়ই বাড়তে থাকে নদীতে পানির উচ্চতা। আর রাতে তা ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পায়। আর এতে জেলার নিম্ন আ ল ও রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়ে নদীতীরবর্তী গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে পড়ে।