প্রকাশ: ৩ মে ২০২০, ৪:১৩
মাদারীপুরের কালকিনিতে এক ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে এবং ত্রানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন ও একই সঙ্গে এক প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। আজ রোববার বিকালে উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
ত্রান বঞ্চিতরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান সেলিম ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইমরান হাওলাদার মিলে দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি ত্রান প্রকৃত দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরন না করে তাদের ব্যক্তিগত লোকজন ও বিত্তশীলদের মাঝে বিতরন করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ত্রান পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধ করেন ৬নং ওয়ার্ডের লোকজন। এদিকে কিছুদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম ও ইউপি সদস্য ইমরান হাওলাদারের ত্রান বিতরনের অনিয়মের ঘটনার প্রতিবাদ করার অপরাধে ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বাহারুল ইসলামকে লাি ত করা হয়। এ ঘটনায়ও একই সময় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাহেবরামপুর ইউপি পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জামাল মোল্লা, আথলীগ নেতা মোজাম্মেল মীর, সাবেক ইউপি সদস্য বাহারুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শিরাজুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার, সাহেবরামপুর ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ স্বজল, ফেরদাউস সরদার ও সাহেবরামপুর ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সুজন।
ত্রান বঞ্চিত দরিদ্র এসকান্দার পাইক, সুজন হাওলাদার ও দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম ও মেম্বার ইমরান হাওলাদার আমাগো গরীবগো ত্রান না দিয়ে তারা তাদের ব্যক্তিগত ও বিত্তশীল দলীয় লোকজনদের দিয়েছে। তাই আমরা ত্রান না পেয়েএ কর্মসুচি পালন করেছি। এবং আমরা ত্রান চাই।
সাবেক ইউপি সদস্য বাহারুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম ও মেম্বার ইমরান হাওলাদারের দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে লাি ত করেছে। আমি তাদের বিচার চাই। এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমি দেখব।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব