যেখানে ৫১ থেকে ১০০ স্কোর থাকলে বাতাসের মানকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়, সেখানে রাজধানীর তিন অভিজাত এলাকার স্কোর ৪০০। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২৮৭, যার অর্থ হচ্ছে এ শহরের বাতাসের মান ‘‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’’ এবং এ অবস্থায় সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।
বাতাসের মানের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান, বনানী ও বারিধারায়। বেলা ১২টায় একিউআই সূচকে উল্লেখিত এলাকাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কোর ছিল ৪০০। অর্থাৎ, এসব এলাকার বাতাসের মান "অতি বিপজ্জনক"। একই সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ও সংশ্লিষ্ট এলাকার একিউআই স্কোর ছিল ১৫০, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
উল্লেখ্য, একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ১৯০ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
আর একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরা হয়।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে একিউআই সূচকে ৩০০-এর কাছাকাছি স্কোর নিয়ে ধুঁকছে ঢাকা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।