দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে থেকে চীনে গেছে বেশি এসেছে কম!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২০ ১২:৩৬ অপরাহ্ন
দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে থেকে চীনে গেছে বেশি এসেছে কম!

গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে বসবাসরত সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিক পরিবার পরিজনের সঙ্গে নববর্ষ পালন করতে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। পক্ষান্তরে এ সময়ে চীন থেকে ফিরে এসেছেন ২ হাজার ৩০৮ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৪০ জন অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে এসেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।

এদিকে বিভিন্ন দেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় চীন থেকে ফেরার জন্য অপেক্ষমাণ চাইনিজ নাগরিকদের নিয়ে শঙ্কিত সরকার। এ কারণে গত ২১ জানুয়ারি থেকে চীন থেকে ফেরত আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থল ও নৌবন্দরে স্ক্যানার বসিয়ে টেম্পারেচারসহ দেহ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। প্যাসেঞ্জার ডিক্লারেশন ফরমের মাধ্যমে যাত্রীর কাছ থেকে জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ রোগব্যাধি রয়েছে কি না তা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন কি না- সে সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) চীন ফেরত ওইসব যাত্রীদের দুই সপ্তাহ ধরে ফলোআপ করবে।

গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ সম্পর্কিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ব্যবসা ও চাকরিসূত্রে অনেক চীনা নাগরিক বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তাদের অনেকেই নতুন বছর পালন করতে স্বদেশে ফিরে গেছেন। তারা আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। ওই সব যাত্রীকে অবশ্যই বিমানবন্দরে ভালোভাবে স্ক্রিনিং করতে হবে। কারণ তাদের মধ্যে কেউ হয়তো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসতে পারেন।

বৈঠকে উপস্থিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক পরিচালক বলেন, প্রতিদিন চারটি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করে। চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ইউএস-বাংলা ও ড্রাগন এয়ার। ফ্লাইটগুলো সকাল সাড়ে ৭টা, দুপুর ২টা, রাত ১০টা ও সাড়ে ১১টায় যাতায়াত করে। প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৪৫০ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, গত ২১ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চীন থেকে চাইনিজ নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের ৩ হাজার ৩৪৮ জন যাত্রী ফেরেন। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহভাজন রোগীর সংখ্যা শূন্য। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আইইডিসি,আর হটলাইনে কলের সংখ্যা ২৬।

ইনিউজ ৭১/এম.আর