"কথা শুনতেই নারাজ" সরাইল বিদ্যুৎ অফিসের তেলেসমাতি কারবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: সোমবার ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ০৫:১৭ অপরাহ্ন
"কথা শুনতেই নারাজ" সরাইল বিদ্যুৎ অফিসের তেলেসমাতি কারবার

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের তেলেসমাতি কারবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মাহবুবুর রহমান বকুল। তাঁর দুইমাস আগে নেওয়া সংযোগের মিটারে রয়েছে ৪৩০ ইউনিট, অথচ স্থানীয় পিডিবি'র বিদ্যুৎ অফিস বিল করেছে ১৪১০ ইউনিটের। এখন বিদ্যুৎ কর্মকর্তা বলছেন ১৪১০ ইউনিটের বিলের সম্পূর্ণ টাকাই পরিশোধ করতে হবে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক পড়েছেন বিপাকে!

"কথা শুনতেই নারাজ" ভুক্তভোগী গ্রাহক মাহবুবুর রহমান বলেন, দুইমাস আগে আমি বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়িতে নেয়। আমার মিটার নং-৮৫৭২৫৪ ও হিসাব নং ২৬৯৩১। কোন বিল না আসায় গত ১২ সেপ্টেম্বর আমি বিদ্যুৎ অফিসে যাই। সরকারি টাকা জমা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে উপ-সহকারি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে দেখা গেল উপ-সহকারি প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিনের অফিস রুম তালাবদ্ধ। পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করতে গেলে কম্পিউটার রুমে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কম্পিউটার রুমে গিয়ে আমার কোন বিল পাওয়া গেল না। এবার আমাকে দফতরের আলমগীর মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আলমগীর মিয়া কুমিল্লায় আছেন। এবারও বিল পাওয়া গেলনা।

পরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আলমগীর মিয়াকে পাওয়া গেল। আমার বিদ্যুৎ সংযোগের বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পর তিনি রেজিষ্টার দেখে আমার একাউন্ট নম্বর বাহির করে দেন এবং পুনরায় কম্পিউটার সেকশনে যেতে বলেন। কম্পিউটার সেকশনে গিয়ে আমার হিসাব নম্বর ঢুকানোর পর দেখা গেল বিগত ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমার সংযোগের বিল করা হচ্ছে ১৪৩০ ইউনিটের প্রায় ৬,৮৩৯ টাকার মত। বিলে হিসাব নম্বর ঠিক থাকলেও মিটার নম্বর নেই, ঠিকানাও ভুল লেখা।  

পরে বিষয়টি উপ-সহকারি প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিনকে জানালে তিনি এ ব্যাপারে আমার কোনো কথা শুনতেই নারাজ। পরে দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে দেখা করে ভৌতিক বিলের বিষয়টি জানালে তিনিও এ ব্যাপারে কোন কথা শোনবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে তিনি বলে উঠলেন আগামিকাল আপনার সংযোগে প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে। ১৯ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি আমার সংযোগে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হলো এবং আমাকে ভৌতিক বিলের ১৪৩০ ইউনিটের ৬,৮৩৯ টাকার বিল হাতে ধরিয়ে দিলেন। অথচ আমার সংযোগের ডিজিটাল মিটারে ৪৩০ ইউনিট। এ ব্যাপারে জানতে সরাইল পিডিবি'র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে যোগাযোগ করলে কেউই এই সংযোগের ভৌতিক বিলের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর