হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাঃ এনামুল হকের খামখেয়ালিতে অকালে প্রাণ গেলো শাহিদা নামের এক প্রসূতি মা ও নবযাতকের। হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি মাদারীপুরের কালকিনিতে এ ঘটনা ঘটে। কালকিনি থানায় মামলা করবেন বলে মৃতের স্বজনেরা।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, অজ্ঞতাকে পুঁজি করে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারি কমিশনের লোভে রোগীকে কালকিনি মডার্ণ হাসপাতাল নামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। যেখানে আধুনিক কোনো সরঞ্জাম নেই। নেই ভালো কোনো ডাক্তার নেই। কিন্তু হাসপাতাল গেইটে একডজন ডাক্তারের নেইম প্লেট ব্যাবহার করে আসছেন দীর্ঘদিন। নিহতের ভাই কামাল খান বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টার দিকে আমার বোনের প্রচ- প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারি রেখার পরামর্শে কালকিনি মডার্ণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের ডাক্তার এনামুল ও সেলিমসহ আরও দুজন আমাদের জানায়, শিশুটিকে বাঁচানো যাবে না, তবে মাকে নিরাপদ রাখা যাবে।
আমরা শিশুর মায়ের জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে অপারেশন করতে বলি। প্রয়োজনীয় রক্ত, ঔষধ সরবরাহ করি, সন্ধ্যায় মৃত শিশুর জন্ম হয়, এরপর ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা রোগীর সঙ্গে থাকা সবাইকে আশ্বস্থ করলে একজন হাসপাতালে থেকে বাকি সবাই বাড়িতে বিশ্রামের জন্য যায়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে রোগীর অবস্থার চরম অবনতি ঘটলেও তারা কালক্ষেপণ করে। তখনও রোগীর কিছুই হয়নি বলেও আশ্বস্থ করে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলো তাদের কথায়ই বিশ্বাস রাখে।
কামাল খান আরও বলেন, আমি ফোনে ডাক্তার ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলি। অনুরোধ করি বরিশাল মেডিকেলে রেফার করার। এরপর রাত প্রায় ১১টার সময় তারা রোগীকে রেফার করে। রাত ১২টায় বরিশাল মেডিকেলে পৌছালে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, মডার্ণের চিকিৎসার গাফিলতি আরও আগে পৌছাতে পারলে ভালো হতো। এরপর আইসিইউতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মারা যান তিনি। তিনি বলেন, এটা হত্যাকা-। অনেক অনুরোধ করেছি ভালো কোনো হাসপাতালে রেফার করার জন্য। তারা অর্থের লোভে রেফার করেননি। নবজাতক শিশু ও মা হত্যাকা-ের জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের মালিক হরিপদ ঘোষকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।