মুজিব বর্ষেই সারাদেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও ১০ জেলার ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ; আমরা মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ, এই যে মুজিব বর্ষ ঘোষণা দিয়েছি, এর মাঝে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হব, বলে আশা করছি। কেউ অন্ধকারে থাকবে না। সব ঘরেই আলো জ্বলবে।’
তিনি বলেন, সব ঘরে কিভাবে আলো জ্বালাব? সব জায়গায় তো আমাদের গ্রীড লাইন নাই। যেখানে গ্রীড লাইন নাই বা দুর্গম এলাকা, চর, হাওর, পাহাড়সহ যে সব অঞ্চলে এখনও গ্রীড লাইন পৌঁছায় নি, সেখানে আমরা আমাদের সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বা সোলার প্যানেলসহ বিভিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা পৌঁছে দিয়ে সেই ঘরগুলিও যাতে অন্ধকার না থাকে, সেই ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমরা করব। সেইভাবেই আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
সরকার যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, এতে যে অর্থ খরচ হয় তার থেকে কম খরচে সরবরাহ ও ভতুর্কি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ অপচয় আপনারা বন্ধ করবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন, মিতব্যয়ী হবেন। তাতে যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তারাও লাভজনক হবে। কারণ বিলটা কম আসবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব আহমদ কায়কাউস স্বাগত বক্তব্যে জানান, একটি সরকারি এবং ৬টি বেসরকারি উৎপাদন কেন্দ্র এবং ১০টি জেলার ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে আরও জানান, ইতোমধ্যে ২১১টি উপজেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। আজকে ২৩টিসহ মোট ২৩৪টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন হল। বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে আরও ১২৭টি উপজেলা। অর্থ্যাৎ বাকি যে ৬১টি উপজেলা আছে সেগুলো আগামী বছরের জুনের ভেতরে শেষ করা সম্ভব হবে। ২০৪১ সালে আমাদের অর্জিত হবে, স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ।
ইনিউজ৭১/জিয়া
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।