বরিশালে ৭ রুটে বাস চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৯ই জুলাই ২০১৯ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
বরিশালে ৭ রুটে বাস চলাচল শুরু

বরিশাল থেকে ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর-খুলনাসহ সাত রুটে সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রামচন্দ্র দাসের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব রুটে আবারও সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে তার আহ্বানে সোমবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় কমিশনারের অফিসের সভাকক্ষে বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতি ও ঝালকাঠি জেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা সমঝোতা বৈঠক বসেন। বৈঠকে দ্বন্দ্ব নিরসন করে সাত রুটে সরাসরি বাস চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

ঝালকাঠি জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, প্রায় দেড় মাস আগে রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য চাঁদা না পেয়ে ঝালকাঠি শ্রমিক ইউনিয়নের এক সদস্যকে ও লাইন সম্পাদক মিলনকে মারধর করা হয়। সেই ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযোগ দেয়া হলেও বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতি বা শ্রমিক ইউনিয়ন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিমপাড়ের অস্থায়ী বাস টার্মিনাল থেকে ঝালকাঠির ৭টি রুটে বাস চলাচল করতো। তিনি জানান, বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপে ওই ঘটনার জন্য রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলে মুচলেকা দেয়। সেই সঙ্গে মিলনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করায় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ৭ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন সকাল ৮টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজন স্ট্যান্ড ফি বাবদ ঝালকাঠি আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক ও রংধনু পরিবহনের বাসচালক মিলনের কাছে ২শ টাকার স্থলে ১২০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই অতিরিক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বরিশাল বাস মালিক সমিতির লোকজন তাকে জিআই পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে অন্য শ্রমিকরা মিলনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন থেকেই বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ৭ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। রুটগুলো হচ্ছে- ১. বরিশাল-ঝালকাঠি-খুলনা, ২. বরিশাল- ঝালকাঠি-পিরোজপুর ৩. বরিশাল- ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া ৪.বরিশাল- ঝালকাঠি-মঠবাড়িয়া ৫. বরিশাল- ঝালকাঠি-পাথরঘাটা ৬. বরিশাল- ঝালকাঠি বা ঝালকাঠি বরিশাল ০৭. ঝালকাঠি- ভান্ডারিয়া।

ইনিউজ ৭১/এম.আর