ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বদনপুর গ্রামে ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৪) কে ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে মুছা মন্ডল নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ভর্তি রেজি নং ৬৮২০। মুছা মন্ডল বদনপুর গ্রামের আনিচ মন্ডলের ছেলে। তবে পুলিশ বলছে মুছার সাথে মেয়েটির পরোকিয়া ছিল। মেয়েটি আগে বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সাথে সংসার করেছে। জমিজাতি বা সামাজিক বিরোধ নিয়ে কোন সমস্যা হতে পারে। মেয়েটির ভাষ্যমতে সে কালীচরণপুর স্কুলে পড়ালেখা করে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে টিউবওয়েলে পানি নিতে গেলে মুসা মন্ডল তাকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। এরপর কি হয়েছে মেয়েটি বলতে পারেনি। সকালে তাদের বাড়ির কাছেই হাত পা বাধা অবস্থায় পড়ে ছিল। মেয়েটির মা নার্গিস বেগম অভিযোগ করেন তার মেয়েকে নির্যাতন করা হলেও স্থানীয় এক মেম্বর তাদের মামলা করতে দিচ্ছে না। মেয়েটির দুলাভাই আব্দুল আলীম জানান, তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বদনপুর গ্রামে যেটাই ঘটুক তদন্ত হওয়া দরকার। মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে কিনা তার তদন্ত চান মানবাধিকার কর্মীরা। লম্পট মুসার শ্বাশুড়ি নুরী বেগম জানান, তার জামাই অভদ্র ও চরিত্রহীন। তার লাম্পট্যের প্রতিবাদ করে আমার মেয়ে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, পুলিশ বাহিনী এখন অনেক সচেতন। কোন অপরাধ করে কেও পার পাবে না। মেয়েটি সত্যই ধর্ষিত হলে ন্যায় বিচার পাবে। তিনি বলেন, ঘটনার মধ্যে কোন সামাজিক বিবাদ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে রোববার রাতে মেয়েটির বাবা মিজানুর রহমান একটি অভিযোগ দিয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।