ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৫শে জুন ২০১৯ ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান

সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দূর করতে পারবো বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়ি বা আশপাশে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। তাই প্রতিটি নাগরিককে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ডিএনসিসির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন মগবাজার এলাকায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক সচেতনতা বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, মসজিদের ঈমামদের এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ করেছি। ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া মোকাবিলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ২৯ জুন মানিক মিয়া এভিনিউতে এ বিষয়ে জনসচেতনামূলক প্রোগ্রাম করবো। এরপর থেকেই শুরু হবে মশক নিধনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রাম।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশক নিধনে নতুন ওষুধ আনছি, যার কম্পোজিসনও চেঞ্জ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। মশার ব্যাপকতার সমীক্ষা অনুযায়ী ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তা বেশি। সে কারণে আজ এ এলাকায় জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান এবং মানুষের কাছে যাবো। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ সময় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এলাকাবাসীদের বলা হয়, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যার বাহক এডিস মশা। এডিস মশা বাসাবাড়ির ভিতরে এবং বাহিরে যত্রতত্র পড়ে থাকা বিভিন্ন পাত্র ও অন্য স্থানে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তিনি নগরবাসীকে সচেতনভাবে মশক নিধিন কর্মীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।

বেইজমেন্টের পানির ট্যাংক, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, ওয়াসার পানির মিটার, অব্যবহৃত বালতি, ড্রাম, পানি রাখার মটজা, ফুলের টব ইত্যাদি স্থানে একনাগাড়ে তিন দিনের বেশি পানি জমতে দিবেন না। বাড়ির ছাদ, দুই দালানের মাঝে স্যাঁতসেঁতে করে রাখবেন না। বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড় এবং আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখুন। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, সাংবাদিক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।

ইনিউজ ৭১/এম.আর