বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূল করতে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধানসহ ৮ কর্মকর্তাকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এই তথ্য জানান ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান।
আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এসব কর্মকর্তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন। এর আগে, ১৯ নভেম্বর, জুলাই-অগাস্টের গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, সচিব, উপদেষ্টা এবং একজন বিচারপতিও রয়েছেন। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২৩ সালের ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এসব অভিযোগে একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এদিকে, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের পরিচালিত দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।