দেশী বিদেশী দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো নির্মানাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যেকোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে ও বাহিরে আজও ৮ প্লাটুন বিজিবি ও ৮ গাড়ি র্যাব এবং এক হাজার পুলিশ মোতায়ন রয়েছে । বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে আটকা পড়া শ্রমিকরা মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন বুধবার রাতে বাঙ্গালী শ্রমিকদের ব্যারাক থেকে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ শ্রমিক দেয়াল টপকে বাইরে চলে গেছে। বাঙ্গালীদের খাবার ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক অভুক্ত রয়েছে বলে তাদের দাবী । তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মুল ফটক দিয়ে যেন তারা বের হতে পারে তার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন শ্রমিকরা ।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এবং পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে ।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, তার নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট পুলিশের তদন্ত কমিটি বুধবার থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তদন্তে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবী করেছে পুলিশ বিভাগ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কোন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।