কক্সবাজারের উখিয়ার উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ডিগলিয়া হতে ডেইলপাড়া নতুন জামে মসজিদ পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। কিছুদিন কাজ করে ফেলে চলে যায় সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার। আবার স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কাজ শুরু হলেও কোন প্রকার সিডিউলের তোয়াক্কা না করে দায়সারা ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার মোঃ আলম। এলাকাবাসি এ নিয়ে একাধিক বার বাঁধা প্রদান করলেও এলজিইডির দুর্নীতিবাজ কর্তাব্যক্তিদের কারণে কোন সুফল পায়নি স্থানীয় লোকজন। পরিশেষে বিয়ষটি উপজেলা চেয়ারম্যানের নজরে আসলে তিনি বুধবার সরেজমিন রাস্তাটি পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছেন। রাস্তা পরিদর্শনকালে শতশত গ্রামবাসি রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিন রাস্তা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে দেখা যায়, সড়কের আব্দুস সালামের বাড়ী থেকে ডেইলপাড়া নতুন জামে মসজিদ পর্যন্ত কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ১ কিলোমিটার সড়কে ব্যাপক অনিয়ম করছে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকদার। সিডিউলে বালি দেওয়ার কথা থাকলেও বালির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, আর রাস্তা প্রস্তস্থ ক্ষেত্রে উপরে ১০ ফুট, নিচেও ১০ ফুট থাকার কথা, কিন্তু এখানে দেখা যায় উপরে ১০ফুট থাকলেও নিচে রয়েছে ৮ফুট, এছাড়াও বক্স করে গর্ত করার কথা রয়েছে ২৪ ইি নিচে, কিন্তু এখানে বক্স করা হয়েছে ১০/১১ ইি। এত অনিয়মের পরও এলজিইডি কর্মকর্তারা কোনদিন সড়কটি পরিদর্শন করেনি। যা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় আবু বক্কর অভিযোগ করে জানান, রাস্তাটি পুরো অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকদার। এ নিয়ে কয়েকবার বাধা দেওয়া হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কেউ। একইভাবে বৃহস্পতিবার পাশর্বর্তী আলুর মাঠ থেকে মাটি নিয়ে রাস্তায় দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তা বাঁধা দেওয়া হলে ঠিকাদারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করা হয় বলে সে অভিযোগ করে জানান। উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সাথে এব্যাপারে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিদিন আমাদের লোকজন ওখানে যাওয়া-আসা করে কিন্তু কাজের মান নিয়ে কোন কেউ অভিযোগ করেনি। এখন যেহেতু উপজেলা চেয়াম্যান নিজেই রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন তাঁর সাথে কথা বলে পরবর্তী কি করণীয়, তা দেখা হবে।
রাস্তা পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, রাস্তাটির ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করার পর আমি সরেজমিন রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। আমার দেখা মতে, রাস্তাতে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে। পানির পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মাটি, আর সিডিউল অনুয়াযী কোন কাজ হচ্ছেনা। তাই আপাততে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।