কলাপাড়ায় ১৫ রোজার পর জমে উঠেছে ঈদের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮শে মে ২০১৯ ০৪:১৬ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় ১৫ রোজার পর জমে উঠেছে ঈদের বাজার

ধানের বাজারে খড়া আর মৎস্য অবরোধ থাকায় রমযানের প্রথম দিকে ঈদ বাজার তেমন জমে না উঠলেও ১৫ রোযার পর থেকে কলাপাড়ার বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। তীব্র দাপদাহ উপেক্ষা করে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ফুটপাতের দোকানসহ শহরের বড় বড় দোকানগুলোতে। এছাড়া ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উপজেলার কুয়াকাটা, মহিপুর, চাপলী, ধুলাশ্বর, বানাতী বাজার, কলেজ বাজার, নমোরহাটসহ সব ছোট বড় সব বাজারেই বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়। আর এসব ক্রেতাদের ভীড়ে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বেচাবিক্রি একটু কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, প্রথম দশ রোজায় তেমন একটা বেচাকেনা হয়নি। মূলত: ১৫ রোজার পর থেকেই  শুরু হয়েছে ঈদের বেচা বিক্রি। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরাও আসছেন পোশাক কিনতে। তবে মেয়েদের ভীড় একটু বেশি। ঈদের মার্কেটে বাহারী সব পোশাকেরই চাহিদা রয়েছে। মেয়েদের অনপিছ, গাউন, লেহেঙ্গা থ্রিপিছের চাহিদা একটু বেশি। এছাড়া দেশীয় টাঙ্গাইলসহ ভাড়তীয় শাড়ীর দিকে ঝুকছেন বয়স্করা। ছেলেদের পাঞ্জাবীর চাহিদাও কম নয়। তৈরী পোশাকের দোকান ছাড়াও কসমেটিকস, পাদুকা, শাড়ী-লুঙ্গিসহ মসলার দোকানে ভীড় রয়েছে চোখে পড়ার মত। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে জমজমাট কেনাবেচা। এছাড়া রাত জেগে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি পাড়ার কারিগররা। তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। আর আতর, টুপির দোকনগুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় । 

উপজেলার ধানখালী থেকে আসা ক্রেতা মরিয়ম বেগম বলেন, পছন্দনীয় থ্রীপিসের দাম একটু বেশি। কিন্ত কিছুই করার নাই, ঈদ বলে কথা। তাই পছন্দের থ্রীপিস একটু বেশি দাম দিয়েই কিনেছি। নাতি নিয়ে কিনতে আসা সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ রহমান মিয়া বলেন, ধানের দাম কম। হাতে টাকা নেই। এবছর শুধু ছোট নাতির জন্য ২/৩’শ টাকার মধ্যে জামা প্যান্ট কিনবো। মহিপুর বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে পোশাক কিনতে আসা মৎস্য ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে মাছ শিকারে অবরোধ চলছে। তাই হাতে টাকা পয়সা নেই বললেই চলে। ধার দেনা করে ছেলে মেয়েদের ইচ্ছা পূরন করছি। 

কলাপাড়া পৌর শহরের বর্তমান ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী রেহান উদ্দিন রেহান জানান, ধানের বাজারে মূল্য কম থাকায় প্রথম দিকে বেচাবিক্রি একটু কম ছিল। তবে শেষ মূহুর্তের ঈদের বাজারে ক্রেতারা নতুন পোশাক ক্রয় করার প্রতিযোগীতায় নেমেছে। বিশেষ করে গ্রাম থেকে দল বেঁধে মহিলারা আসছে কেনাকাটা করতে। মহিপুর বাজারের আরেক ব্যবসায়ী স¤্রাট মিয়া জানান, মৎস্য অবরোধ থাকায় বেচাবিক্রি অনেক কম ছিল। তবে এখন ২০ রোযার পর ভাল বিক্রি হচ্ছে। কলাপাড়া পৌর শহর বন্দর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক ও শিকদার বুটিকসের মালিক ফিরোজ শিকদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর বিক্রি একটু কম হচ্ছে। তবে এখন বাজারে বেচাবিক্রি বেশ ভালই আছে। বাজারে প্রশাসনেরও বেশ নজরদারি রয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর