শরীয়তপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় চারজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ: ছালাম খান এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের পশ্চিম নাওডোবা গফুর মোড়ল কান্দি গ্রামের হামেদ মোড়লের ছেলে নুরু মোড়ল (৩৫), সিদ্দিক মোড়লের ছেলে চুন্নু মোড়ল (৫০), চুন্নু মোড়লের স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৪৫) ও পশ্চিম নাওডোবা আহাম্মেদ চোকিদার কান্দি গ্রামের মৃত জমির চোকিদারের ছেলে সেলিম চোকিদার (৩৭)।
ট্রাইব্যুনালের সরকারী কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী জানান, ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলার জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের আহাম্মেদ চৌকিদার কান্দি গ্রামের ইলিয়াস চোকদারের মেয়ে রিমা আক্তার (১৩) নিখোঁজ হয়। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে নাওডোবা মজিদ হাওলাদারকান্দি জনৈক খোকন হাওলাদারের পরিত্যক্ত ভিটায় পাটকাটি দিয়ে ঢাকা অবস্থায় রিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রিমাকে গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে এবং বুকে কোপের জখম অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রিমার বাবা ইলিয়াস চোকিদার ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে জাজিরা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ২৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। ১৪ জন সাক্ষীর পর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন। সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, আসামি নুরু, চুন্নু, সেলিম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং স্বপ্না ধর্ষণে সাহায্য করেন। পরে তারা মেয়েকে হত্যা করে। শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেন এবং প্রত্যেককে জরিমানার আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামিদেরপক্ষের আইনজীবী আলমগীর হোসেন জানান, এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নয়। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।