পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির আদি যোগ থেকেএ সাংস্কৃতিকে লালন করে আসছে। বৈশাখী সাজে সাজে রূপময় করতে বিভিন্ন মাঠির সামগ্রী তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। আর মাত্র নয়দিন (১৪এপ্রিল) পর পহেলা বৈশাখ , মাটির তৈরি তৈজসপত্রের টুং-টাং শব্দ। হাতের কারুকার্যে কাদামাটি দিয়ে হয়েছে বাহারি সব পণ্য। এসব তৈরির পর রোদে শুকানো , আগুনে পোড়ানো , রং করা ও প্যাকেট করে নির্ধারিত স্থানের বৈশাখী মেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্ততি। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সরাইল উপজেলার কুমারপাড়া এলাকার বর্তমান চিত্র এমনই।
কুমারপাড়া মৃৎশিল্পীদের সব ব্যস্ততা এখন পহেলা বৈশাখ ঘিরে।সরাইল কুুুমারপাড়া সনজীব চন্দ্র রৌদ্র পাল, বোজন পাল, বিশ্ব চন্দ্রপাল, ভারতী পালের হাতের ছোঁয়ায় কাদামাটি দিয়ে তৈরি হয় মৃৎশিল্প। তাদের সাথে শিশু বাচ্চারা ও মা বাবার কাজে গুটি গুটি হাত লারছে। তাদের মাটির তৈরি শৈল্পিকতায় অনেক আগেই জয় করে নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব উপজেলার বৈশাখী মেলা। তাই বৈশাখকে ঘিরে ওই সব উপজেলার মেলার আয়োজন কমিটি থেকে তাগিদ আছে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় যাওয়ার জন্য। সে কারণে ওই সব উপজেলার মেলার চাহিদা মেটাতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও একই ধরনের ব্যস্ততা তাদের।প্রতিবছরই মৃৎ শিল্পীরা পণ্যে ডিজাইনে পরির্বতন করেন।তাই মাঠির তৈরি গরু, সিংহ, বাঘ, হরিণ, ও আম,আনারস, আপেল, মাঠি ব্যাংক, শিশুদের বিভিন্ন খেলনাপাতি বাহারি রংকরা হচ্ছে।
তারা অনেকে জানান মাঠি বিভিন্ন কাচা মালের দাম বারাই আগের মত লাভবান না। তবে বাপ দাদার ব্যবসা তাই করি। প্রায় নব্বই বছরের ভারতী পাল এ প্রতিবেদকের সাথে কাজে পাকে বলেন, এখন আগের মত পারি না বয়স হয়েছে। চোখে টিক ভাবে দেখিনা। এ কাজ কত বছর হয় করছেন, উত্তরে বলে জন্ম কর্ম আমাদের একাজ অন্য কিছু করার সুযোগ নাই, সনজীব চন্দ্রপাল বলেন, এখন আমাদের এ কাজের কদর নেই, মাঠি কিনেআনতে হয়, আগে খাল বা বিলে পাওয়া যেত। এ আয় দিয়ে চলেনা সংসার কষ্ট দিনা পাত করি, আজও পর্যন্ত কোন সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা পাইনা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।