সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর রোববার রাতে ইউটিউবে সরাসরি লাইভে যুক্ত হন। ‘লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
লাইভে মেজর ডালিম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন, যা মুজিবের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল। তিনি দাবি করেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিব স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিলেন এবং এ কারণেই মানুষ তার পতনের পরে রাস্তায় নেমে শুকরিয়া আদায় করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে ডালিম বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণার পরই তিনি যুদ্ধে অংশ নেন। জিয়ার সেই ঘোষণাই মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বলে তিনি দাবি করেন।
মেজর ডালিম আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নির্বাচন করা ভুল ছিল। তিনি মনে করেন, কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্য কোনো দেশীয় কবির রচিত গান জাতীয় সঙ্গীত হতে পারত। ভিনদেশী একজন কবির গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করাকে তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল উল্লেখ করেন।
১৯৭১-এর মতো নতুন করে স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মেজর ডালিম বলেন, ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের কবল থেকে মুক্তি পেতে আরেকটি বিপ্লবের প্রয়োজন। তিনি ছাত্র-জনতাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
মেজর ডালিমের এই বক্তব্য স্থানীয় ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তার মন্তব্যগুলো নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে তার বক্তব্যকে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ তা সময়োপযোগী বলে মনে করছেন।
এই লাইভ বক্তব্য নিয়ে মেজর ডালিমের সমর্থকদের পাশাপাশি বিরোধীদের মধ্যেও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার বক্তব্যের রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বিভিন্ন মহলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।