‘২০১৭ সালের আগুনে আমার দোকানের ৭৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ করার আগেই ফের নিঃস্ব হলাম। এখন ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই।’ শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে কাঁচাবাজারের সামনে এভাবেই বিলাপ করছিলেন ব্যবসায়ী মো. রেজাউল ইসলাম। কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তিনিও একজন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রেজাউল ইসলাম বলেন, মার্কেটে আর আর এন্টারপ্রাইজ নাম কসমেটিকসের দোকান তার। গতবারের আগুনের পর কোনো সহায়তা না পেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আবার দোকান চালু করেন। কিন্তু আজকের আগুন তাকে একেবারে পথে বসিয়ে দিলো। দোকানের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি। রামপুরায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন রেজাউল। তার ৮ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রেজাউলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরিবার নিয়ে এই শহরে এখন থাকবেন কিভাবে? রেজাউল বলেন, ঋণের টাকা এখনও পুরোপুরি পরিশোধ হয়নি। এরই মধ্যে আবার সব ছাই হয়ে গেল। এখন ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই।
শুধু রেজাউল নয় শনিবারের ভোরের এই আগুনে পুড়ে গেছে তার মতো অনেক ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। যাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায়ী আগেরবারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে কাঁচাবাজারে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারিতে এই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই আগুনে মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। নিঃস্ব হয়েছিলেন অনেক ব্যবসায়ী।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।