বরিশাল বিভাগের ১৪ উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রোববার। বিভাগের ১৪টি উপজেলায় সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে চলবে এ ভোটগ্রহণ। বিভাগের যে যে উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- বরিশালের সদর, বাকেরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝারা, মুলাদী ও হিজলা, ঝালকাঠির সদর, নলছিটি, রাজাপুর, কাঠালিয়া ও ভোলার বোরহানউদ্দিন। ইতোমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় সাইদুর রহমান রিন্টু, গৌরনদীতে সৈয়দা মনিরুন্নাহার মেরী, আগৈলঝাড়ায় আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, বাকেরগঞ্জে শামসুল আলম চুন্নু, বানারীপাড়ায় গোলাম ফারুক এবং মুলাদী উপজেলায় তরিকুল হাসান খান মিঠু, নলছিটিতে মো. সিদ্দিকুর রহমান ও বোরহানউদ্দিনে আবুল কালাম আজাদ বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও কয়েকটি উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র দায়িত্ব পালন করবেন র্যাব-পুলিশ সহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ টি উপজেলার ৬০টি ইউনিয়নের ৪৮৫ টি কেন্দ্রে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ২৬ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবির ২১ টি প্লাটুনে ২০ জন করে মোট ৪২০ জন সৈনিক থাকবে, র্যার এর ৭ টি টিম প্রতিটি টিমে ১৬ জন করে মোট ১১২ জন র্যার সদস্য থাকবে, কোস্টগার্ড মুলাদি ও হিজলা উপজেলায় ২০ জন করে মোট ৪০ জন সদস্য থাকবে, আনসার সদস্যরা ৪৮৫ টি কেন্দ্রে ১২ জন করে মোট ৫৮২০ জন আনসার সদস্য থাকবে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মেট্রো এলাকায় ৭৬৯ জন পুলিশ সদস্য, এপিবিএন ৪০ জন সদস্য, ৪৮৫ টি কেন্দ্রে জেলা পুলিশের মোট ২০৯৩ জন ও আনসারের ১০৮০ সহ মোট ১৮৪৯ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলে সর্বদা তৎপর রয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে বরিশাল জেলার ৭ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৮৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৬ জন মহিলা ভোটার রয়েছে।
এদিকে গত বুধবার নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বরিশালে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নির্বাচনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না। তাদের সাপোর্টাররা আসছে না। এটাই হচ্ছে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ। সব মিলিয়ে ভোটার উপস্থিতি ভালোই দেখছি আমরা। তবে নির্বাচনে যদি দুইজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হয় তাহলে ভোটারদের আগ্রহ কম দেখা যায়। এছাড়া চেয়ারম্যান যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় সেখানেও অন্য পদের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের তেমন আগ্রহ থাকে না। রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, নির্বাচনে যেখানে অনিয়ম হয়েছে সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। উপজেলা নির্বাচন হবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার। যদি এর কেউ ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রথম ধাপে ১০ মার্চ ৭৮ উপজেলায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ ১১৬ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ তৃতীয় ধাপে বরিশাল সদর উপজেলাসহ ১১৮ উপজেলায় এবং ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় এবং আগামী ১৮ জুন পঞ্চম ধাপের ২১ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।