বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তল ধরতে না পারার পর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ঠুনকো তার প্রমাণ মিলল আবারও। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম নিরাপত্তা চৌকি পার হওয়ার পর যাত্রী মামুন আলী নিজের সঙ্গে অস্ত্র থাকার কথা নিরাপত্তাকর্মীকে জানান।
জানা গেছে, সিলেটে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ১৩১ ফ্লাইটের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন মোহাম্মদ মামুন আলী। ওই সময় তার সঙ্গে পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি থাকলেও বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় কিছু না বলেই ভেতরে প্রবেশ করেন। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের আর্চওয়েতে আনসার সদস্য রিপন তার শরীর তল্লাশি করেন। মামুন আর্চওয়ে পার করে চলে যায়। কিন্তু অস্ত্র শনাক্ত করতে পারেননি সেখানের নিরাপত্তা কর্মীরা। ওই সময় মামুন নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের চেকিং কি শেষ হয়েছে? জবাবে আনসার সদস্য হ্যাঁ বললে যাত্রী মামুন বলেন, ‘কী চেক করলেন, আমার কাছে তো পিস্তল আছে।’ এরপর তিনি পিস্তল বের করে দেখান এবং লাইসেন্সও দেখান।
আরও জানা গেছে, এ সময় ঘটনাস্থলে শাহজালালের এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকি উপস্থিত হন। পরে এভসেক থেকে ইউএস-বাংলাকে বলা হয় ওই যাত্রীকে অফলোড করার জন্য। এভসেক থেকে লিখিত কোনো ডকুমেন্ট না দেয়ায় ইউএস বাংলা মামুন আলীকে অফলোড করেনি। পরে যাত্রী মামুন পিস্তলে এবং গুলি নিয়ম মেনে এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সঙ্গে করে সিলেটে নিয়ে যান। ওই সময় মামুন আলী নিজেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। যাত্রী মামুন আলী পরিচয় জানতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব হিরন্ময় বাড়ৈ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমে জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ভাইস চেয়ারম্যানের কোনো পদ নেই। তাছাড়া, মামুন আলী নামে এখানে কেউ নেই। এটা হয়তো বেসরকারি কোনো সংস্থার হতে পারে। এ দিকে, এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকি গণমাধ্যমকে জানান, মামুন নামের ওই যাত্রী অস্ত্র থাকার বিষয়টি আগে জানাননি। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা অস্ত্র শনাক্ত করার পর তাকে যথাযথ নিয়মে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।