'প্রধানমন্ত্রী জেগে আছেন বলেই ১৭ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৬ই মার্চ ২০১৯ ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
'প্রধানমন্ত্রী জেগে আছেন বলেই ১৭ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে'

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই দেশের ১৭ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। এ কারণেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণ নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়েছে। ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে জঙ্গি-সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধী দুর্নীতিবাজদের জোট বিএনপি-জামায়াতকে।  গতকাল মঙ্গলবার একাদশ সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন।  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন আলোচনায় অংশ নেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সরকারি দলের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তাহমিনা বেগম, কাজী নাবিল আহমেদ, শামসুন নাহার, সাইমুম সরওয়ার কমল, অপরাজিতা হক, শফিকুল আজম খান, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, আনেয়ার হোসেন খান, রত্না আহমেদ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী প্রমুখ। 


সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার জাতীয় ঐক্যের ডাকে জাতীয় পার্টি তার পাশে রয়েছে, থাকবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক ঐতিহাসিক। কিন্তু সংসদে কেউ কেউ সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন। এতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। বিএনপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অফিসে বসে প্রেস কনফারেন্স ছাড়া এ দলটির আর কোনো কাজ নেই। অথচ সরকারি দলের কোনো কোনো সদস্য সংসদে এ দলটি নিয়ে বক্তব্য দিয়ে তাদের প্রচার কাজ ভালোভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের করের টাকায় পরিচালিত সংসদে দলটির সমালোচনা করে প্রচারে আনার অর্থ হয় না।  জাতীয় পার্টির এই সাংসদ বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই দেশের ১৭ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন। তবে শুধু উন্নয়ন করলেই হবে না, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। 

আতিউর রহমান আতিক বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে কোনটা শহর, কোনটা গ্রাম তা এখন বোঝা যায় না।  মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটেছে। জনগণ সচেতন ছিল বলেই সন্ত্রাসীরা নির্বাচনে কিছু করতে পারেনি। যারা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে, তারা ভালো করেই জানে কেন দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন শান্তির সুবাতাস বইছে। শান্তিচুক্তির বেশিরভাগই বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে আকাশে কালো মেঘ দেখলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশঙ্কার সৃষ্টি হতো। এখন পুরো পার্বত্যাঞ্চল বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব