ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম ফর্ম অব ডেমোক্রেসি ইজ বেটার দেন নো ডেমোক্রেসি। সাম ফর্ম অব ইলেকশন ইজ বেটার দেন নো ইলেকশন। অর্থাৎ একেবারে গণতন্ত্র না থাকার চেয়ে কোনোরকম থাকা ভালো। একেবারে নির্বাচন না হওয়ার চেয়ে কোনোরকম হওয়া ভাল। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই উপ-নির্বাচন বিএনপিসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত দল বর্জন করে। এ অবস্থায় প্রচার-প্রচারণা ছিল একেবারে ঢিলেঢালা। এমনকি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতিও ছিল হাতে গোনা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হন ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সেসব প্রশ্নের জবাবেই শুক্রবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বিষয়গুলো ওইভাবে না দেখে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের বিষয়টা দেখতে হবে। ডেমোক্রেসি তো রাখতে হবে। নির্বাচনের প্রক্রিয়াও থাকতে হবে। সংবিধানও চলবে। নিয়ম কানুন তো জলাঞ্জলি দেয়া যাবে না। এখন নির্বাচনটা বন্ধ থাকার চেয়ে নির্বাচনটা হয়েছে। সাম ফর্ম অব ডেমোক্রেসি ইজ বেটার দেন নো ডেমোক্রেসি। সাম ফর্ম অব ইলেকশন ইজ বেটার দেন নো ইলেকশন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অভিবক্ত ঢাকা সিটির নির্বাচনও বর্জন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ।
তখন বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তুলনা করেন ২০০১ সালে কি হয়েছিল। ওটাতো একেবারে ভোটার শূন্য একটা নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়রও নির্বাচিত মেয়র এবং নির্দিষ্ট সময়ের আরও তিন বছর বেশি সময় অর্থাৎ ৮ বছর তিনি মেয়র পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সেটা কি আপনাদের মনে আছে? নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপির এ বিষয়ে সমালোচনা করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন তো একটা হয়েছে। বিএনপিকে তো আর জোর করে কেউ নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয় না। তারা নিজেরাই নির্বাচনে আসেনি। এখন তারা না এসে সমালোচনা করলে তো হবে না। তারা নিজেরা এসে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করতো তাহলে একটা কথা ছিল। নির্বাচনে সংঘাত না হওয়াকে বড় সফলতা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা কউন্সিলর পদে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। কাউন্সিলর পদের উন্মুক্ত করে দিলে এখানে একটা মারামারি হানাহানির পরিবেশ হয়, সংঘাতপূর্ণ একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেটা কিন্তু হয়নি। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ একটা ইলেকশন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে বড় একটি দল জয়েন করেনি। তাছাড়া বৈরি আবহাওয়া ছিল, তারপর ছুটির কারণে অনেকে বাড়ি চলে গেছে। আর চার বছর পর একটা একটা উপ-নির্বাচন। কাজেই পরিপূর্ণ কোনো নির্বাচন নয়। এইসব সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।