বাংলাদেশি ইস্যুতে প্রোপাগান্ডা প্রত্যাখ্যান করল ঝাড়খণ্ডবাসী, বিজেপির ভরাডুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৩০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশি ইস্যুতে প্রোপাগান্ডা প্রত্যাখ্যান করল ঝাড়খণ্ডবাসী, বিজেপির ভরাডুবি

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৮১ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১টি আসন। তবে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট অন্তত ৫৭টি আসন জয়লাভ করে ক্ষমতা ধরে রাখার দিকেই এগিয়ে রয়েছে।


নির্বাচনের ফলাফল

ইন্ডিয়া জোটে অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এককভাবে পেয়েছে ৩৪টি আসন, কংগ্রেস ১৬টি আসন, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ৪টি আসন এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন পেয়েছে ২টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি এ পর্যন্ত মাত্র ২০টি আসনে জয়লাভ করেছে, যা তাদের ২০১৯ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।


জনগণের বার্তা

নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজ্যের জনগণের মধ্যে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুতে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিল। তবে ঝাড়খণ্ডের জনগণ বিজেপির এই প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ফলাফল বিজেপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য বড় ধাক্কা।


মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের প্রতিক্রিয়া

জয়ের প্রতিক্রিয়ায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, “এই লড়াই ছিল কঠিন। আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেছি এবং আমাদের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমাদের টিমওয়ার্ক অসাধারণ ছিল। মানুষ আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যখন আমি জেলে ছিলাম, তখন বাইরে থাকলে ফলাফল আরও চমকপ্রদ হতে পারত।”


বিজেপির পতন

২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিজেপির রঘুবর দাস মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যটি শাসন করেছিল বিজেপি। তবে এবার নির্বাচনে তাদের আসনসংখ্যা হ্রাস প্রমাণ করে যে, জনগণ বিজেপির শাসনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।


আদিবাসী নেতৃত্বের জয়

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন একজন আদিবাসী নেতা। তার নেতৃত্বে জেএমএম জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। সোরেন সরকারের সামাজিক উন্নয়নকেন্দ্রিক নীতিগুলোও এই জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ইন্ডিয়া জোটের এই জয় নতুনভাবে ঝাড়খণ্ডে সামাজিক সাম্য ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছে। সোরেন সরকারের সামনে রয়েছে রাজ্যের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ।