মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫১৮ ভাদ্র, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জাতীয়

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যত দুর্নীতি ও অনিয়ম

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৪

শেয়ার করুনঃ
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যত দুর্নীতি ও অনিয়ম
বরিশাল
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’। কারাগার কর্তৃপক্ষও দাবি করছেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতিটি বন্দীকে কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে দেখানো হয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কারাগারের বন্দী যারা জামিনে কিংবা খালাস হয়ে মুক্ত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন তথ্যই মিলছে। তারা দাবী করেন কেউ যদি বরিশাল কারাগারে আসেন তবে সে আর কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহী হবেন না। কেননা দুর্নীতি কাকে বলে তা স্বচক্ষে না দেখলে কাউকে বিশ্বাস করানো সম্ভব নয়।

অনুসন্ধানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কারাগার কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেন। তাইতো গতকাল শনিবার কারাগারের গম চুরি করে বিক্রির ছবি সংগ্রহ করায় যুগান্তর পত্রিকার বরিশালের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদকে কারা অভ্যন্তরে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে খোদ জেলারের সামনেই। সূত্রে জানা যায়, বরিশাল ছিল এক সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা। তাই এখানে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হতো ভয়ঙ্কর অপরাধীদের। ১৮২৯ সালে ২০ দশমিক ৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। তবে জেলা কারাগার থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার করা হলেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি একাংশও।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একজন হাজতি কারা গেট থেকে প্রবেশের পর থেকেই শুরু হয় কারাকর্তৃপক্ষের অর্থ আদায়ের সূচনা। এরপর জামিনে বের হওয়া পর্যন্ত হাজতিদের নিয়ে চলে তাদের অর্থ বাণিজ্য। এরপর ধাপে ধাপে অর্থাৎ নামের ভুল, আমদানি, ওয়ার্ড, খাবার, গোসল, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকা, দেখার ঘর ও মেডিকেল সব ক্ষেত্রেই শুধু টাকা আর টাকা। পুরো কারাগারজুড়েই চলছে টাকার খেলা আর জমজমাট মাদক ব্যবসা। যার যত টাকা ও প্রভাবশালী, কারাগারের ভিতরে তার ততই দাপট। মাদকের রমরমা বাণিজ্যও হয় জেলখানার ভেতরে। টাকাওয়ালারা ঘরের ন্যায় জেলখানাতেও বসবাস করেন আরাম আয়েশে। আর যাদের টাকা নেই তাদের কারা কর্তৃপক্ষের কতিপয় ব্যক্তির নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে কারাগারের বাইরে এসব ঘটনা সহসা প্রকাশ করেন না কেউ। কারণ বেশিরভাগ হাজতিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মাদক সংশ্লিষ্ট অথবা অপরাধী হওয়ায় তাদের বারবার যেতে হয় কারাগারে।

আরও

ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে ইতিহাস পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান

ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে ইতিহাস পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান

হাজতিদের কারাগারে প্রবেশের আগে তাদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করেন কারাগারের কতিপয় কর্মকর্তা। ওই খাতার নাম হলো ‘পিসি বই’। হাজতি মুখে তার পরিচয় সঠিক বললেও লেখার সময় অনেকটাই ইচ্ছে করে পিসি বইতে ভুল তথ্য লেখা হয়ে থাকে। একজন হাজতির নাম যদি হয় ‘মিজানুর রহমান’ কারা কর্তৃপক্ষ তার নাম লিখবে ‘মিজানুর বহমান’। আদালত থেকে তার জামিন মঞ্জুর হলেও ‘র’ ও ‘ব’ এর বেড়াজালে আটকে দেয়া হয় ওই হাজতিকে। গেটের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীকে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকা দিলেই ‘ব’ আবার ‘র’ হয়ে যায়। কেউ টাকা দিতে না পারলে জামিন আদেশের পরও তাকে কমপক্ষে একদিন অতিরিক্ত জেলহাজতে থাকতে হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এসব কথা জানিয়েছেন হয়রানির শিকার কয়েক হাজতি।

তারা (হাজতি) আরও জানান, আমদানিতে একদিন রাখার পর হাজতিদের অপরাধ অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানেও টাকা। অনেক অপরাধী এক জায়গায় বসবাস করায় প্রায়ই হাজতিতের মধ্যে মারামারি বাধে। মারামারি করার অপরাধে তাদের কেস টেবিলে (কারাগারের বিশেষ বিচার ব্যবস্থা) হাজির করা হয়। তবে কারাগারের কতিপয় অসাধু সুবেদার, জমাদার ও সিআইডিদের টাকা দিলে পার পেয়ে যায় প্রকৃত অপরাধী। এর প্রেক্ষিতে উল্টো শাস্তি পেতে হয় নিরাপরাধীকে। ফলে কারাগারে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবণতা। সূত্রে আরও জানা গেছে, একটু ভালভাবে গোসল করার জন্যও টাকা গুনতে হয় কারাগারের বন্দীদের। প্রতিবার গোসল করার জন্য যারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিতে পারছেন শুধু তারাই পাম্পে বা বিভিন্ন সেলের সামনে গোসল করার সুযোগ পাচ্ছেন।

কারাগারের অভ্যন্তরে নগদ টাকা বহন করা বড় ধরনের অপরাধ। তাই বাইরে থেকে কেউ টাকা দিতে চাইলে ব্যাংক হিসেবের ন্যায় পিসি বইতে টাকা জমা হয়। কারো টাকার প্রয়োজন হলে পিসি বইয়ের মাধ্যমে ক্যান্টিন থেকে লেনদেন করা হয়ে থাকে। আর এখানেই হলো আসল দুর্নীতি। কেউ ১০০ টাকা চাইলে তাকে দেয়া হয় ৯০ টাকা। বাকি ১০ টাকা কমিশন বাবদ কেটে রাখা হয়। যদিও টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জেলার বলেছেন, এ ১০ টাকা পিসি বই তৈরি করার জন্য নেয়া হয়। এমন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার পিসি বই তৈরি করার জন্য কোন টাকা বরাদ্দ না দেয়ায় তারা এই টাকাটা নিয়ে থাকেন।

বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসা স্বজনরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন দেখা করার ঘরে। তবে টাকা থাকলে সেখানেও রয়েছে স্বস্তি। হাজতি বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা আব্দুর রহমান জানান, আমার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে সিরিয়ালের অজুহাতে প্রায় তিন ঘণ্টা বসে থেকেও দেখা করতে পারিনি। যখন এক কারা সদস্যকে তিনশ’ টাকা দিলাম সে সঙ্গে সঙ্গেই দেখা করিয়ে দিল। তিনি আরও বলেন, এমন দৃশ্য যে কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই প্রতিনিয়ত দেখতে পারবেন। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এ টাকাটা সংগ্রহ করেন জনৈক এক কারারক্ষী। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্পেশালভাবে কারাগারে থাকা স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে গেলেই ওই কারারক্ষীর হাতে পাঁচশ’ টাকা গুজে দিলেই ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় দেখা করার জন্য।

আরও

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক: গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক: গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

সূত্রমতে, কারাগারের সবচেয়ে বেশি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে মেডিক্যালে। কারাবিধি অনুযায়ী যে রোগী আগে যাবেন তিনি মেডিক্যালে সিট পাবেন কিন্তু সেখানে চলে এর উল্টো। টাকার বিনিময়ে সুস্থদের সিট পাইয়ে দেয়া হয়। আর প্রকৃত অসুস্থরা থাকেন মেঝেতে। তবে কারা পরিদর্শকদল পরিদর্শনে গেলে অসুস্থদের বেডে রাখা হয় কিন্তু তারা চলে গেলে পূর্বের নিয়ম চালু হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যালে ১৫ দিন থাকার জন্য ১৫শ’ টাকা এবং এক মাস থাকার জন্য ২৫শ’ টাকা দিতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হাজতি জানিয়েছেন, যে কেউ দিব্যি সুস্থ হয়েও অসুস্থতার সার্টিফিকেট নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে বসে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা, খাওয়া-দাওয়া এবং মোবাইল ফোনে কথা বলার অপার সুযোগ পাচ্ছেন। কতিপয় কারা চিকিৎসকের সঙ্গে আঁতাত করে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেয় দালালরা। ওই সার্টিফিকেটের জন্য প্রতিজন বন্দীকে দিতে হয় এক থেকে দুই হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জেলারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কারা মেডিক্যালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ভাল বলতে পারবেন। পরে কারা মেডিক্যালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি মাসে শুধু মেডিক্যাল থেকে আয় হয় তিন থেকে চার লাখ টাকা। চিকিৎসকও এর একটি অংশ পেয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, কারাগারের অভ্যন্তরে অবাধেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। কারাগারে বিক্রি হওয়া মাদকের বাইরেও রয়েছে ঘুমের ট্যাবলেটের ব্যবস্থা। কারা অভ্যন্তরে কতিপয় কারারক্ষীরা এসব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে। তবে কারাগার থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে ইতোপূর্বে কয়েকবার। বিশেষ করে কতিপয় সিআইডি ও মেডিক্যাল চিফ রাইটারের মাধ্যমে মাদক সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। কারণ সিআইডি সদস্যদের গেটে তল্লাশি করা হয় না। তাই কোন প্রকার বাধা ছাড়াই কারা অভ্যন্তরে মাদক প্রবেশ করান কতিপয় অসাধু সদস্যরা। তবে মাদকের বিষয়টি জেলার সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

সূত্রে আরো জানা যায়, কারাগারের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত মোবাইলও অবৈধভাবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। কারাগারে এই মোবাইলের সাংকেতিক নাম ‘ময়না পাখি’। মোবাইলের মালিক নিজেও ব্যবহার করেন এবং ভাড়াও দেন। ফলে ভিতরের সব খবরা-খবর এক নিমেষেই বাহিরে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, যেসব সন্ত্রাসী কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তারা বাইরের অপরাধ জগতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে মোবাইলের মাধ্যমে। যার ফলে যে কোন অপরাধ কর্মকা-সহ মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ পরিচালনা করতে সক্ষম হয় তারা কারাগারে বসেই।

জানা গেছে, কারাগারের সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার জন্য ডিআইজি প্রিজনের পক্ষ থেকে একজন সিআইডি সদস্য রয়েছেন বরিশাল কারাগারে। তবে ডিআইজির কাছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের বড় বড় দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা গোপন রাখা হয়। ফলে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে এখান থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন দায়িত্বরত কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। যে সব কয়েদি কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকেন তারাই রাজত্ব করেন কারাগারজুড়ে। আর যারা কারা কর্তৃপক্ষের মন জোগাতে ব্যর্থ হন, তাদের সইতে হয় নির্যাতন। আর তাদের কাজ করতে হয় ফুলের বাগান, সুইপার চালি, তাঁত চালি বা রান্না ঘরে।

একাধিক বন্দীরা জানান, খাবারের তালিকায় মাছের যে সাইজ উল্লেখ থাকে তা কখনই দেয়া হয় না। তালিকায় ইলিশ, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছ খাওয়ানোর কথা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই দেয়া হয় পুকুরে চাষ করা পাঙ্গাস মাছ। আর যে মাংস খাওয়ানো হয় তাও পরিমাণে খুব কম। তবে টাকার বিনিময়ে ক্যান্টিন থেকে চড়া মূল্যে মাছ ও মাংস কিনে খেতে পারেন বন্দীরা। তাই যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কারাগারে বসে ভাল-মন্দ কিনে খেতে পারেন। সদ্য জেল থেকে বের হওয়া কয়েকজন হাজতি জানান, জেলখানার খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। বন্দীদের সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত খাবার বরাদ্দ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, জেলখানার ময়লা নিস্কাশনের জন্য ড্রেনে গেলেই দেখা যাবে প্রতিদিন কি পরিমান খাবার খালের পানিতে ফেলে দেয়া হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের প্রধান গেট থেকেই ভিতরে প্রবেশ করে এসব নিম্নমানের খাবার। খাবার ভিতরে প্রবেশ করানোর সময় নিম্নমানের অভিযোগ তুলে তা অনেক সময় গেটে আটকে দেন গেট ইনচার্জ। এ নিয়ে চলে খাবার সরবরাহকারী ও গেট ইনচার্জের দেনদরবার। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারনে ওই খাবারই ভালমানের হিসেবে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। আরেকটি চা ল্যকর তথ্য হলো বিভিন্ন সরকারি দিবস বা ঈদ-কোরবানীতে বন্দিদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কারাঅভ্যন্তরে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এজন্য সরকার থেকে আলাদা বরাদ্ধ থাকলেও বন্দিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে কর্তৃপক্ষ। আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন তিনি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত তাকে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন।

মামলার সুবাদে কিছু দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে তাকে। আলী হোসেন বলেন, “ঈদের সময় জেলখানায় গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। এজন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলে কারারক্ষীরা। আর যারা চাঁদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের গালমন্দসহ মারধরও করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নামের ভুলসংশোধনী, আমদানি, ওয়ার্ড, গোসল, খাবার, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকার কমিশন, দেখার ঘর, মেডিক্যাল সবমিলিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উপার্জন হয় অবৈধভাবে। অভিযোগ রয়েছে- জেলার, ডেপুটি জেলার থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, সুবেদার, কারারক্ষীরা এ টাকার ভাগ পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর না নেয়ায় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি পাহাড়সহ হয়ে উঠেছে।

কারাগারের ভেতর ও বাইরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার মোঃ ইউনুস জামান বলেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যে জনবল রয়েছে তা ৬৩৩ বন্দীর জন্য কিন্তু কারাগারে প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছেন। তাই এখানকার নিরাপত্তা জোরদার করতে আরও কারারক্ষী প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ১৮২৯ সালে ২০.৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর

সর্বশেষ সংবাদ

এলেম হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলেম হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

হাইকোর্টের রায়: বিচারক নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের হাতে !

হাইকোর্টের রায়: বিচারক নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের হাতে !

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রায় ঘোষণা শুরু

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রায় ঘোষণা শুরু

আজ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজ সাক্ষী দিবে তাঁর পালিত সাবেক আইজিপি

আজ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজ সাক্ষী দিবে তাঁর পালিত সাবেক আইজিপি

গাজীপুর পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম প্রত্যাহার

গাজীপুর পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম প্রত্যাহার

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে শঙ্কা, যা বললেন নায়েবে আমির

নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে শঙ্কা, যা বললেন নায়েবে আমির

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি সমাধানে নিরপেক্ষতার আশ্বাস

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি সমাধানে নিরপেক্ষতার আশ্বাস

নির্বাচন বয়কটকারীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচন বয়কটকারীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

রাজউকের প্লট পেতে ভাসমান ও গরিব বলে পরিচয় দেন রেহানা-টিউলিপ

রাজউকের প্লট পেতে ভাসমান ও গরিব বলে পরিচয় দেন রেহানা-টিউলিপ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ: ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ: ইসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

গাজীপুর পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম প্রত্যাহার

গাজীপুর পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম প্রত্যাহার

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তিনি প্রত্যাহারের নির্দেশ পান। আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করে সদর দপ্তরে যোগ দেবেন। সম্প্রতি ড. নাজমুল করিম খানের কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ রাখার অভিযোগ প্রকাশিত হয়। এ

নির্বাচন আয়োজনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে: সিইসি

নির্বাচন আয়োজনের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে বৈঠকে বলেছে, নির্বাচন ইস্যুতে যেন কোনো ধরনের ‘ব্লেম’ না দেওয়া হয়। এজন্য কমিশন আগে থেকে সব রকম প্রস্তুতি শুরু করেছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক: গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক: গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান এবং দেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় অব্যাহতভাবে সেনাবাহিনীর সমর্থন নিশ্চিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা আরও সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর

ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে ইতিহাস পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান

ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে ইতিহাস পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান জেনারেল এমএজি ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সোমবার দুপুরে সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ইতিহাসের অবহেলিত প্রশ্নগুলো সামনে আনার আহ্বান জানান। ফারুকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁদেরকে ইতিহাসের পাতা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলার সময়

সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের আশ্বাস

সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের আশ্বাস

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জেকবসন। সোমবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতি নয়, তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাতে সব দলের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রাখে। জেকবসন