সোমবার, ১২ মে, ২০২৫৩০ বৈশাখ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif
জাতীয়

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যত দুর্নীতি ও অনিয়ম

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৪

শেয়ার করুনঃ
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যত দুর্নীতি ও অনিয়ম
বরিশাল
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’। কারাগার কর্তৃপক্ষও দাবি করছেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতিটি বন্দীকে কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে দেখানো হয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কারাগারের বন্দী যারা জামিনে কিংবা খালাস হয়ে মুক্ত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন তথ্যই মিলছে। তারা দাবী করেন কেউ যদি বরিশাল কারাগারে আসেন তবে সে আর কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহী হবেন না। কেননা দুর্নীতি কাকে বলে তা স্বচক্ষে না দেখলে কাউকে বিশ্বাস করানো সম্ভব নয়।

অনুসন্ধানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কারাগার কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেন। তাইতো গতকাল শনিবার কারাগারের গম চুরি করে বিক্রির ছবি সংগ্রহ করায় যুগান্তর পত্রিকার বরিশালের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদকে কারা অভ্যন্তরে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে খোদ জেলারের সামনেই। সূত্রে জানা যায়, বরিশাল ছিল এক সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা। তাই এখানে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হতো ভয়ঙ্কর অপরাধীদের। ১৮২৯ সালে ২০ দশমিক ৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। তবে জেলা কারাগার থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার করা হলেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি একাংশও।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একজন হাজতি কারা গেট থেকে প্রবেশের পর থেকেই শুরু হয় কারাকর্তৃপক্ষের অর্থ আদায়ের সূচনা। এরপর জামিনে বের হওয়া পর্যন্ত হাজতিদের নিয়ে চলে তাদের অর্থ বাণিজ্য। এরপর ধাপে ধাপে অর্থাৎ নামের ভুল, আমদানি, ওয়ার্ড, খাবার, গোসল, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকা, দেখার ঘর ও মেডিকেল সব ক্ষেত্রেই শুধু টাকা আর টাকা। পুরো কারাগারজুড়েই চলছে টাকার খেলা আর জমজমাট মাদক ব্যবসা। যার যত টাকা ও প্রভাবশালী, কারাগারের ভিতরে তার ততই দাপট। মাদকের রমরমা বাণিজ্যও হয় জেলখানার ভেতরে। টাকাওয়ালারা ঘরের ন্যায় জেলখানাতেও বসবাস করেন আরাম আয়েশে। আর যাদের টাকা নেই তাদের কারা কর্তৃপক্ষের কতিপয় ব্যক্তির নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে কারাগারের বাইরে এসব ঘটনা সহসা প্রকাশ করেন না কেউ। কারণ বেশিরভাগ হাজতিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মাদক সংশ্লিষ্ট অথবা অপরাধী হওয়ায় তাদের বারবার যেতে হয় কারাগারে।

আরও

শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েত, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েত, উত্তপ্ত পরিস্থিতি

হাজতিদের কারাগারে প্রবেশের আগে তাদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করেন কারাগারের কতিপয় কর্মকর্তা। ওই খাতার নাম হলো ‘পিসি বই’। হাজতি মুখে তার পরিচয় সঠিক বললেও লেখার সময় অনেকটাই ইচ্ছে করে পিসি বইতে ভুল তথ্য লেখা হয়ে থাকে। একজন হাজতির নাম যদি হয় ‘মিজানুর রহমান’ কারা কর্তৃপক্ষ তার নাম লিখবে ‘মিজানুর বহমান’। আদালত থেকে তার জামিন মঞ্জুর হলেও ‘র’ ও ‘ব’ এর বেড়াজালে আটকে দেয়া হয় ওই হাজতিকে। গেটের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীকে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকা দিলেই ‘ব’ আবার ‘র’ হয়ে যায়। কেউ টাকা দিতে না পারলে জামিন আদেশের পরও তাকে কমপক্ষে একদিন অতিরিক্ত জেলহাজতে থাকতে হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এসব কথা জানিয়েছেন হয়রানির শিকার কয়েক হাজতি।

তারা (হাজতি) আরও জানান, আমদানিতে একদিন রাখার পর হাজতিদের অপরাধ অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানেও টাকা। অনেক অপরাধী এক জায়গায় বসবাস করায় প্রায়ই হাজতিতের মধ্যে মারামারি বাধে। মারামারি করার অপরাধে তাদের কেস টেবিলে (কারাগারের বিশেষ বিচার ব্যবস্থা) হাজির করা হয়। তবে কারাগারের কতিপয় অসাধু সুবেদার, জমাদার ও সিআইডিদের টাকা দিলে পার পেয়ে যায় প্রকৃত অপরাধী। এর প্রেক্ষিতে উল্টো শাস্তি পেতে হয় নিরাপরাধীকে। ফলে কারাগারে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবণতা। সূত্রে আরও জানা গেছে, একটু ভালভাবে গোসল করার জন্যও টাকা গুনতে হয় কারাগারের বন্দীদের। প্রতিবার গোসল করার জন্য যারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিতে পারছেন শুধু তারাই পাম্পে বা বিভিন্ন সেলের সামনে গোসল করার সুযোগ পাচ্ছেন।

কারাগারের অভ্যন্তরে নগদ টাকা বহন করা বড় ধরনের অপরাধ। তাই বাইরে থেকে কেউ টাকা দিতে চাইলে ব্যাংক হিসেবের ন্যায় পিসি বইতে টাকা জমা হয়। কারো টাকার প্রয়োজন হলে পিসি বইয়ের মাধ্যমে ক্যান্টিন থেকে লেনদেন করা হয়ে থাকে। আর এখানেই হলো আসল দুর্নীতি। কেউ ১০০ টাকা চাইলে তাকে দেয়া হয় ৯০ টাকা। বাকি ১০ টাকা কমিশন বাবদ কেটে রাখা হয়। যদিও টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জেলার বলেছেন, এ ১০ টাকা পিসি বই তৈরি করার জন্য নেয়া হয়। এমন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার পিসি বই তৈরি করার জন্য কোন টাকা বরাদ্দ না দেয়ায় তারা এই টাকাটা নিয়ে থাকেন।

বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসা স্বজনরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন দেখা করার ঘরে। তবে টাকা থাকলে সেখানেও রয়েছে স্বস্তি। হাজতি বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা আব্দুর রহমান জানান, আমার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে সিরিয়ালের অজুহাতে প্রায় তিন ঘণ্টা বসে থেকেও দেখা করতে পারিনি। যখন এক কারা সদস্যকে তিনশ’ টাকা দিলাম সে সঙ্গে সঙ্গেই দেখা করিয়ে দিল। তিনি আরও বলেন, এমন দৃশ্য যে কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই প্রতিনিয়ত দেখতে পারবেন। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এ টাকাটা সংগ্রহ করেন জনৈক এক কারারক্ষী। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্পেশালভাবে কারাগারে থাকা স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে গেলেই ওই কারারক্ষীর হাতে পাঁচশ’ টাকা গুজে দিলেই ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় দেখা করার জন্য।

আরও

জরুরি বৈঠকে উত্তাল পরিস্থিতি, আলোচনায় আসছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি

জরুরি বৈঠকে উত্তাল পরিস্থিতি, আলোচনায় আসছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি

সূত্রমতে, কারাগারের সবচেয়ে বেশি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে মেডিক্যালে। কারাবিধি অনুযায়ী যে রোগী আগে যাবেন তিনি মেডিক্যালে সিট পাবেন কিন্তু সেখানে চলে এর উল্টো। টাকার বিনিময়ে সুস্থদের সিট পাইয়ে দেয়া হয়। আর প্রকৃত অসুস্থরা থাকেন মেঝেতে। তবে কারা পরিদর্শকদল পরিদর্শনে গেলে অসুস্থদের বেডে রাখা হয় কিন্তু তারা চলে গেলে পূর্বের নিয়ম চালু হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যালে ১৫ দিন থাকার জন্য ১৫শ’ টাকা এবং এক মাস থাকার জন্য ২৫শ’ টাকা দিতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হাজতি জানিয়েছেন, যে কেউ দিব্যি সুস্থ হয়েও অসুস্থতার সার্টিফিকেট নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে বসে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা, খাওয়া-দাওয়া এবং মোবাইল ফোনে কথা বলার অপার সুযোগ পাচ্ছেন। কতিপয় কারা চিকিৎসকের সঙ্গে আঁতাত করে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেয় দালালরা। ওই সার্টিফিকেটের জন্য প্রতিজন বন্দীকে দিতে হয় এক থেকে দুই হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জেলারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কারা মেডিক্যালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ভাল বলতে পারবেন। পরে কারা মেডিক্যালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি মাসে শুধু মেডিক্যাল থেকে আয় হয় তিন থেকে চার লাখ টাকা। চিকিৎসকও এর একটি অংশ পেয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, কারাগারের অভ্যন্তরে অবাধেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। কারাগারে বিক্রি হওয়া মাদকের বাইরেও রয়েছে ঘুমের ট্যাবলেটের ব্যবস্থা। কারা অভ্যন্তরে কতিপয় কারারক্ষীরা এসব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে। তবে কারাগার থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে ইতোপূর্বে কয়েকবার। বিশেষ করে কতিপয় সিআইডি ও মেডিক্যাল চিফ রাইটারের মাধ্যমে মাদক সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। কারণ সিআইডি সদস্যদের গেটে তল্লাশি করা হয় না। তাই কোন প্রকার বাধা ছাড়াই কারা অভ্যন্তরে মাদক প্রবেশ করান কতিপয় অসাধু সদস্যরা। তবে মাদকের বিষয়টি জেলার সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

সূত্রে আরো জানা যায়, কারাগারের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত মোবাইলও অবৈধভাবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। কারাগারে এই মোবাইলের সাংকেতিক নাম ‘ময়না পাখি’। মোবাইলের মালিক নিজেও ব্যবহার করেন এবং ভাড়াও দেন। ফলে ভিতরের সব খবরা-খবর এক নিমেষেই বাহিরে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, যেসব সন্ত্রাসী কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তারা বাইরের অপরাধ জগতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে মোবাইলের মাধ্যমে। যার ফলে যে কোন অপরাধ কর্মকা-সহ মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ পরিচালনা করতে সক্ষম হয় তারা কারাগারে বসেই।

জানা গেছে, কারাগারের সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার জন্য ডিআইজি প্রিজনের পক্ষ থেকে একজন সিআইডি সদস্য রয়েছেন বরিশাল কারাগারে। তবে ডিআইজির কাছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের বড় বড় দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা গোপন রাখা হয়। ফলে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে এখান থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন দায়িত্বরত কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। যে সব কয়েদি কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকেন তারাই রাজত্ব করেন কারাগারজুড়ে। আর যারা কারা কর্তৃপক্ষের মন জোগাতে ব্যর্থ হন, তাদের সইতে হয় নির্যাতন। আর তাদের কাজ করতে হয় ফুলের বাগান, সুইপার চালি, তাঁত চালি বা রান্না ঘরে।

একাধিক বন্দীরা জানান, খাবারের তালিকায় মাছের যে সাইজ উল্লেখ থাকে তা কখনই দেয়া হয় না। তালিকায় ইলিশ, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছ খাওয়ানোর কথা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই দেয়া হয় পুকুরে চাষ করা পাঙ্গাস মাছ। আর যে মাংস খাওয়ানো হয় তাও পরিমাণে খুব কম। তবে টাকার বিনিময়ে ক্যান্টিন থেকে চড়া মূল্যে মাছ ও মাংস কিনে খেতে পারেন বন্দীরা। তাই যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কারাগারে বসে ভাল-মন্দ কিনে খেতে পারেন। সদ্য জেল থেকে বের হওয়া কয়েকজন হাজতি জানান, জেলখানার খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। বন্দীদের সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত খাবার বরাদ্দ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, জেলখানার ময়লা নিস্কাশনের জন্য ড্রেনে গেলেই দেখা যাবে প্রতিদিন কি পরিমান খাবার খালের পানিতে ফেলে দেয়া হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের প্রধান গেট থেকেই ভিতরে প্রবেশ করে এসব নিম্নমানের খাবার। খাবার ভিতরে প্রবেশ করানোর সময় নিম্নমানের অভিযোগ তুলে তা অনেক সময় গেটে আটকে দেন গেট ইনচার্জ। এ নিয়ে চলে খাবার সরবরাহকারী ও গেট ইনচার্জের দেনদরবার। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারনে ওই খাবারই ভালমানের হিসেবে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। আরেকটি চা ল্যকর তথ্য হলো বিভিন্ন সরকারি দিবস বা ঈদ-কোরবানীতে বন্দিদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কারাঅভ্যন্তরে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এজন্য সরকার থেকে আলাদা বরাদ্ধ থাকলেও বন্দিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে কর্তৃপক্ষ। আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন তিনি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত তাকে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন।

মামলার সুবাদে কিছু দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে তাকে। আলী হোসেন বলেন, “ঈদের সময় জেলখানায় গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। এজন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলে কারারক্ষীরা। আর যারা চাঁদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের গালমন্দসহ মারধরও করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নামের ভুলসংশোধনী, আমদানি, ওয়ার্ড, গোসল, খাবার, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকার কমিশন, দেখার ঘর, মেডিক্যাল সবমিলিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উপার্জন হয় অবৈধভাবে। অভিযোগ রয়েছে- জেলার, ডেপুটি জেলার থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, সুবেদার, কারারক্ষীরা এ টাকার ভাগ পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর না নেয়ায় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি পাহাড়সহ হয়ে উঠেছে।

কারাগারের ভেতর ও বাইরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার মোঃ ইউনুস জামান বলেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যে জনবল রয়েছে তা ৬৩৩ বন্দীর জন্য কিন্তু কারাগারে প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছেন। তাই এখানকার নিরাপত্তা জোরদার করতে আরও কারারক্ষী প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ১৮২৯ সালে ২০.৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর

সর্বশেষ সংবাদ

উল্লাপাড়ায় নদীতে ভাসছিল যুবকের মরদেহ, উদ্ধার

উল্লাপাড়ায় নদীতে ভাসছিল যুবকের মরদেহ, উদ্ধার

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, ইসির সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, ইসির সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা

ভারতের পুশইন ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: বিজিবি ডিজি

ভারতের পুশইন ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: বিজিবি ডিজি

বস্তা নয়, ব্লক চাই—ধলাইপাড়ের জনতার দাবি!

বস্তা নয়, ব্লক চাই—ধলাইপাড়ের জনতার দাবি!

আশাশুনিতে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, নীরব এলজিইডি!

আশাশুনিতে সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম, নীরব এলজিইডি!

জনপ্রিয় সংবাদ

হিজলায় ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

হিজলায় ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

আমার নাম কেউ ব্যবহার করলে তাকে আটক করুন - ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত

আমার নাম কেউ ব্যবহার করলে তাকে আটক করুন - ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত

গোয়ালন্দে ইউএনও'র অভিযানে মাটিবাহী ট্রাক জব্দ ও ড্রেজিং পাইপ ধ্বংস

গোয়ালন্দে ইউএনও'র অভিযানে মাটিবাহী ট্রাক জব্দ ও ড্রেজিং পাইপ ধ্বংস

দেবীদ্বারে খুনির বাড়ি ভাঙচুর, সেনা সদস্যের বাড়িও আক্রান্ত

দেবীদ্বারে খুনির বাড়ি ভাঙচুর, সেনা সদস্যের বাড়িও আক্রান্ত

নওগাঁয় কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা পলাশ, হিট স্ট্রোক এড়াতে খাদ্য সহায়তা বিতরণ

নওগাঁয় কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা পলাশ, হিট স্ট্রোক এড়াতে খাদ্য সহায়তা বিতরণ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, ইসির সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, ইসির সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। বৈঠক শেষে ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং

ভারতের পুশইন ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: বিজিবি ডিজি

ভারতের পুশইন ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: বিজিবি ডিজি

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সম্প্রতি ঘটতে থাকা পুশইন ঘটনাকে "সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক" আখ্যা দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ৭ ও ৮ মে দুই দিনে বিজিবি ২০২ জনকে পেয়েছে যাদের বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে পুশইন করেছে। এসব ব্যক্তি জনবসতিহীন এলাকায়

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় জানান, পুলিশের হাতে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র রাখা হবে না। তিনি বলেন, বর্তমানে যাদের হাতে এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে হবে।   উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনীর সাধারণ সদস্যদের হাতে মারণাস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে আর্মড

ঈদ সামনে রেখে ১৩ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন

ঈদ সামনে রেখে ১৩ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন

আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো ১৩ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ঈদের দিন, ঈদের আগে সাতদিন এবং পরে পাঁচদিন স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত একটি অংশীজন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা

স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে আন্তরিকতা আর সহযোগিতাই মূল চাবিকাঠি: ইউনূস

স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে আন্তরিকতা আর সহযোগিতাই মূল চাবিকাঠি: ইউনূস

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের জন্য দোষারোপ নয়, বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি—এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের সংকট নিয়ে বারবার বিতর্ক নয়, বরং সবাই মিলে বসে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। অভাব ও সীমাবদ্ধতা থাকলেও আন্তরিক প্রয়াস থাকলে অনেক