প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৬:৫৮
আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো ১৩ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ঈদের দিন, ঈদের আগে সাতদিন এবং পরে পাঁচদিন স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত একটি অংশীজন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন ও যোগাযোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঈদের আগের এক সপ্তাহ যাবত দেশের বিভিন্ন সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ওয়াসা, তিতাস, টেলিফোনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঈদের সময় যাত্রীসাধারণের চাপ সামলাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরির ব্যবস্থা রাখার কথাও সভায় জানানো হয়। বিশেষ করে নদীবিধৌত অঞ্চলে পরিবহন ব্যবস্থা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমলাপুরের টিটিপাড়া আন্ডারপাস এলাকার সড়ক আগামী ২০ মে’র মধ্যে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে ঈদের সময় ওই এলাকায় যানজট কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় জানানো হয়, কোরবানির পশুর হাট সড়কে বসানো যাবে না। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা থাকে বলে হাটের স্থান নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় অংশ নেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সবাই।
সব মিলিয়ে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।