https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

স্বাগতম ২০১৯, নতুন বছর নতুন স্বপ্ন

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪১

শেয়ার করুনঃ
স্বাগতম ২০১৯, নতুন বছর নতুন স্বপ্ন
মহাকালের আবর্তে বিলীন হলো আরও একটি বছর। এটি ২০১৮ সাল। এখন এটি অতীত। শুরু হলো নতুন বর্ষ ২০১৯। স্বাগতম ১০১৯। বিশ্বাবাসীর মতো বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন আশা নিয়ে বরণ করে নিলো ২০১৯ সালকে।সারা বিশ্বের মানুষ আজ রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষ ২০১৯ সালকে স্বাগত জানায়। বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় নতুন ইংরেজি বছরকে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নববর্ষ ২০১৯ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে খ্রিষ্টীয় নববর্ষে বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বলেন, নববর্ষ সবার মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০১৯ সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত করার ক্ষেত্রে ২০১৮ সাল জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর।’

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন বছর সবার জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনার জন্য তিনি মহান আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশে ২০১৮ সাল ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জনের বছর। এ বছর রাজনীতি, অর্থনীতি, কৃষি, জঙ্গি দমন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ আশাতীত সাফল্য অর্জনসহ মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার পথে উন্নীত হয়েছে। এ বছর বিশ্ব সূচকেও বাংলাদেশের অনেক সাফল্য রয়েছে। এছাড়াও রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ। রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনেও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিকেল ৩টায় চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।   চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের প্রধান প্রটোকল অফিসার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী হং লেই বিমানবন্দরে তাকে বিদায়

চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি

চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সকালে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন। বেইজিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান হে গুয়াংচাইসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।   ডিগ্রি গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এটি শুধু তার ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও গৌরবের মুহূর্ত। তিনি তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে

তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তরুণদের চাকরির পরিবর্তে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চাকরি একটি দাসত্বের ধারাবাহিকতা, তবে মানবসত্তা স্বাধীনভাবে চলার উপযোগী। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে, এরপরই তিনি এই বক্তব্য দেন।   ড. ইউনূস বলেন, নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে তিনি দরিদ্রতা দূরীকরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তবে এর জন্য

বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা উন্নতিতে চীনের মাস্টারপ্ল্যান চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা উন্নতিতে চীনের মাস্টারপ্ল্যান চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

চীনে সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং এর সাথে এক বৈঠকে বাংলাদেশের নদী ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে ৫০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের অনুরোধ করেছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউনূস বাংলাদেশের পানির সমস্যা মোকাবিলায় চীনের অভিজ্ঞতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, চীন যে সফলভাবে পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা করেছে,

বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তারা বাংলাদেশের ব্যবসার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। শুক্রবার বেইজিংয়ের ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল’-এ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বিনিয়োগ সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “আপনারা বাংলাদেশের ব্যবসার সম্ভাবনার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।” তিনি বাংলাদেশের গুণগত এবং ভৌগোলিক সুবিধাগুলির