প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫২
নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাকর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ডিম নিক্ষেপ একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং এ বিষয়টি আমাদের কনস্যুলেট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের সময় জাতিসংঘে সোশ্যাল বিজনেস সংক্রান্ত আইএমএফের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন। এরপর তিনি আরেকটি উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টেও অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে এসডিজি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে, যা তিনি এবং আরও দুইজন প্রাপকের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা ভারতের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সার্ক পুনরুজ্জীবন, নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দেশের নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে।
বৈঠকে এ ছাড়াও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সম্পর্ক, আসিয়ান মেম্বারশিপ এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, এসব বিষয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে বলে বৈঠকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
প্রেস সচিবের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ ও উচ্চপর্যায়ের আলোচনার ফলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সুযোগ বাড়ানোর পথ সুগম হয়েছে।
শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দর ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি পুনরায় না ঘটে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সুসংহত রাখতে এই সফর বিশেষভাবে ফলপ্রসূ হয়েছে।