প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩২
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে, তবে তার আগে দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চান তিনি। রোববার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাল্টিপারপাস হলে ট্যাক্স রিপ্রেজেন্টিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিআরএমএস) সফটওয়্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেছি যে, টিআরএমএসের সুফল আমরা দেখে যেতে পারব কি না। কারণ ফেব্রুয়ারির পর আমাদের যেতে হবে। এর আগে অন্তত কিছুটা দেখে যেতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা প্রায়ই বলেন, আমাদের যা কিছু কন্ট্রিবিউট করার আছে সেটি করে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মানুষের জন্য কিছু করার। কারণ পরে যে সরকার আসবে তাদের সময় লাগবে কাজগুলো বুঝতে এবং গ্রহণ করতে। সদিচ্ছা থাকলেও তা বাস্তবায়নে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হবে। তাই আমরা চাই দেশের জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ রেখে যেতে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, এসব উদ্যোগ মানুষের মধ্যে আশার আলো দেখাতে পারে। কারণ উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনীতি এবং রাজস্ব খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, আমরা সবাই চাই আমাদের কর্মের সুফল জনগণ ভোগ করুক।
টিআরএমএস সফটওয়্যার উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়া দেশে হওয়ায় সবাইকে সাধুবাদ জানাই। আমাদের দেশে বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার প্রবণতা বেশি। কিন্তু এসব কাজ দেশে হলে তা কেবল অর্থ সাশ্রয়ই করে না, দেশের দক্ষ জনবল তৈরিতেও সহায়ক হয়।
তিনি বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই তাদের দেশের সরঞ্জাম ও সেবা বিক্রির চেষ্টা করে। অথচ দেশীয়ভাবে এই কাজ হলে স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। একইসঙ্গে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা দেশেই থেকে যায়।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, এ ধরনের কার্যক্রম ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং কর প্রশাসন সবার জন্য মঙ্গলজনক। কারণ কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে নানা ধরনের কাগজপত্র, জটিলতা ও সময় অপচয় কমে যাবে। ফলে কার্যক্রম সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
তিনি আরও বলেন, কর সংগ্রহের পর অনেক সময় ধন্যবাদ না পাওয়া গেলেও রাষ্ট্রের উন্নয়নে এটি বড় অবদান রাখে। তাই কর ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন জরুরি, তেমনি দক্ষ জনবল তৈরিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।