প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৫
নেপালে চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডু যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। নেপালের আকাশে চক্কর কেটে বিমানটি পুনরায় ঢাকায় ফিরেছে। এ কারণে নেপাল থেকে ঢাকায় ফেরার কথা থাকা যাত্রীরাও দেশটিতে আটকা পড়েছেন এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিজি-৩৭১ ফ্লাইটটি ১১৪ যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। কাঠমান্ডুর কাছে পৌঁছালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটের অবতরণের ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। ফলে বিমানটি নেপালের আকাশে চক্কর কেটে ঢাকায় ফিরে আসে। এছাড়া কাঠমান্ডু থেকে ঢাকাগামী বিজি-৩৭২ ফ্লাইটে থাকা ৯৪ যাত্রীও সময়মতো ঢাকা ফিরতে পারেননি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবির গণমাধ্যমকে জানান, নেপালে আটকা পড়া ৯৪ যাত্রীকে হোটেলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একইভাবে ঢাকা থেকে যাত্রীরা যারা কাঠমান্ডু যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের জন্যও হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নেপালে চলমান ছাত্র আন্দোলন উত্তাল হয়েছে, যা সাধারণ নাগরিক ও যাত্রীদের জন্য চরম অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনের সময় বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে এবং বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানবন্দরে বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের ঢেউ এখনও থামেনি এবং তারা বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।
সরকার ও বিমান কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। যাত্রীরা যাতে হোটেলে নিরাপদে থাকতে পারেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশে ফিরতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে। তারা নিজেরা সাবধানতা অবলম্বন করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা আরও জানান, যাত্রীদের আরাম ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা দ্রুত ঢাকায় ফিরতে পারবেন এবং বিমান চলাচল পুনরায় সচল হবে।