প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২২
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। সোমবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রথমে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে রবিবার সকালে সেনাপ্রধান দেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের প্রধান ব্যক্তিদের সঙ্গে তার ধারাবাহিক এই বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২১ আগস্ট চীন সফরে যান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রায় এক সপ্তাহের সফর শেষে তিনি বুধবার রাতে দেশে ফেরেন। এই সফরে তিনি চীনের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দু’দেশের কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সফরের সময় পিএলএ সদরদপ্তরে পৌঁছালে সেনাপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তিনি বাংলাদেশের সামরিক শিল্প উন্নয়নে চীনের সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি ঘোষণা দেন যে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এভাবে ধারাবাহিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংলাপকে এগিয়ে নিতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। আগামী নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের যোগাযোগ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।