প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সকল গণমাধ্যমকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার বা প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর আওতায় গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য কঠোর শাস্তি হতে পারে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও প্রচার আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও তার ঘৃণামূলক বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল।
সরকার জানিয়েছে, কিছু গণমাধ্যম সম্প্রতি আইন ও আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছে, যা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্মকর্তাদের কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার বক্তব্য বা অডিও সম্প্রচার করা হলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের মতে, এ ধরনের প্রচার দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে এবং সহিংসতা উসকে দিতে সক্ষম।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী হত্যার নির্দেশ দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এর পর তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, দলটির নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রচার করলে গণমাধ্যমকে আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। সরকার মনে করে, এখন দেশের জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রয়োজন সর্বাধিক।
সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত যেকোনো সংবাদমাধ্যমকে কঠোর আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।