প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৬
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়া এবং একটি নতুন প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করছে। রোববার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক মিডিয়া নোটে জানানো হয়েছে, এই যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যে পৌঁছাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
উল্লেখযোগ্য তিনটি মহড়ার মধ্যে প্রথমটি হলো টাইগার লাইটনিং, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক যৌথভাবে পরিচালনা করবে। এই মহড়ায় বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, জঙ্গলে অভিযান, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, আহতদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক প্রতিরোধের দক্ষতা অর্জন করবেন অংশগ্রহণকারী সেনারা।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মহড়া হলো টাইগার শার্ক ২০২৫, যা ফ্ল্যাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ হিসেবে পরিচালিত হবে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় বাংলাদেশের স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে যুদ্ধকৌশল, স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদ এবং সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশল অনুশীলন করবেন।
তৃতীয় মহড়া প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল, যা বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে দুর্যোগকালীন সাড়া, অনুসন্ধান ও উদ্ধার (SAR) এবং অ্যারোমেডিকেল কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হবে। এই মহড়ায় বাংলাদেশের সি-১৩০ বহর বিশেষভাবে আলোচিত হবে, যেটি আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এছাড়া নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সঙ্গে আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক মানববিহীন আকাশযান (UAS) ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এই প্রযুক্তি সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এই সম্মিলিত উদ্যোগগুলো শুধু সামরিক সক্ষমতা নয়, বরং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোকেও সুদৃঢ় করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।