প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ১৭:২৮
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমের ফলে দেশে বড় পরিমাণে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় পুনর্মূল্যায়ন করে দেখা গেছে যে, প্রায় সব প্রকল্পেই অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক খরচ ধরা হয়েছিল। নতুন সরকার এসে এসব খরচ কমিয়ে এসেছে, যা লুটপাট ঠেকানোর একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রায় ১০ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার খরচ কমানো হয়েছে। সেতু বিভাগেও ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত খরচ রোধ করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের খরচও কমে এসেছে ৮ হাজার ৩৬ কোটি টাকার মতো। বিদ্যুৎ বিভাগে প্রায় ৭ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা ব্যয় সঙ্কুচিত হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে সবচেয়ে বেশি অর্থ সাশ্রয় হয়েছে, যেখানে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় কমানো হয়েছে। এই অর্থ মূলত প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে বাঁচানো হয়েছে, যা আগে লুটপাটের মাধ্যমে অপচয় হচ্ছিল বলে মনে করা হয়।
উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য প্রকাশ করে বলেন, “এই পাঁচ বিভাগের ব্যয় সংকোচন মিলিয়ে মোট ৪৬ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার লুটপাট রোধ করা হয়েছে। এই টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে আগের বকেয়াগুলো মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ খাতের শূন্য অবস্থান দূর করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের এই পদক্ষেপ জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থ সাশ্রয়ের ফলে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং ভবিষ্যতে আর্থিক দুর্নীতি কমে আসবে।”
সরকারের এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কার সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং জনগণের আস্থাও ফিরিয়ে আনবে। তবে ভবিষ্যতে এই তদারকি এবং সতর্কতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই সংকোচনের ফলে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে আরও স্বচ্ছতা আসার পাশাপাশি জনগণের কর টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হলেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।