প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৫, ১৭:৪৭
আগামী অর্থবছরের বাজেট শুধু রাজস্ব বা ব্যয়ের হিসাব নয়, বরং এটি একটি মানবিক ও বাস্তববাদী চিন্তার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, এই বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব—এই দুই দিককে প্রাধান্য দিয়েই তৈরি করা হয়েছে। সীমিত সম্পদের মধ্যেও সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও সামাজিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এই বাজেট বক্তৃতার ফুলঝুড়ি নয়, এটি বাস্তবসম্মত একটি উদ্যোগ। আমরা পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব না করলেও ব্যবসা সংশ্লিষ্ট অংশগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। একইসঙ্গে আমরা জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি রূপরেখা রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারকরা অনুসরণ করতে পারবেন। আমাদের লক্ষ্য শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।”
গণমাধ্যমকেও দেশের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আপনারা সাংবাদিকরা দয়া করে সমালোচনার পাশাপাশি সহানুভূতির দৃষ্টিতে রিপোর্ট করবেন। কারণ আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাইজুল কবির এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের নীতিনির্ধারকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে জনসাধারণের চাহিদার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দুর্বলতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সরকার আশাবাদী, বাজেট বাস্তবায়নে সবাই একযোগে কাজ করবে এবং এর সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে। জনকল্যাণ ও উন্নয়নের দিকটি মাথায় রেখেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে চায় প্রশাসন।
হ্যাশট্যাগ
মেটা কীওয়ার্ড