প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ২০:১২
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে পূর্ববর্তী আলোচনার দূরত্ব ঘুচিয়ে জুলাই সনদে আরও কিছু নতুন সুপারিশ যোগ করা। সোমবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান।
তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমি সারাদিনে যত মিটিং করি, সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই যখন আপনাদের সঙ্গে এরকম বসার সুযোগ পাই, কারণ এখানেই বাংলাদেশে প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এই কাজের অংশ হতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।”
ড. ইউনূস জানান, তাদের দায়িত্ব ছিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কার করা। প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি কোথা থেকে শুরু করবেন। পরে ধারাবাহিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয় এবং পরবর্তীতে ছয়টি কমিশন আরও গঠন করা হয়। এই কমিশনগুলোকে ৯০ দিনের সময় দেয়া হয় কাজ শেষ করার জন্য।
তিনি জানান, কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর একটি জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় নতুন একটি ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়, যার কাজ ফলপ্রসূ হয়েছে। ড. ইউনূস প্রফেসর আলী রিয়াজের সহযোগিতায় এই কাজের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি ভাবছিলাম হয়তো সবাই এতে আগ্রহী হবে না, তবে আশ্চর্যের বিষয় সবাই গভীরভাবে এতে যুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শুধু কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেনি, নিজেদের মধ্যে আন্তরিক আলোচনাও করেছে, যা প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ড. ইউনূস জানিয়েছেন, প্রথম পর্বে অনেক সুপারিশে একমত হয়েছে। এবার দ্বিতীয় পর্বে আগের দূরত্ব দূর করে আরও নতুন কিছু সুপারিশ যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। “আমাদের লক্ষ্য হলো একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা যেখানে সবার ঐকমত্য প্রতিফলিত হবে।”
তিনি জাতির প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি সৃষ্টি হয়নি বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নতির পথে এগোনোর প্রক্রিয়া গড়ে উঠেছে। আমরা আশা করি জুলাই সনদে একটি চমৎকার ঐকমত্য হবে।”
এই জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।