প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১৭:৫৭
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হয় এ গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ।
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অংশ নেন বিএনপির প্রতিনিধি দল, যাদের নেতৃত্ব দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। জামায়াতে ইসলামী থেকে অংশ নেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ। এ ছাড়াও এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, এনসিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটসহ আরও বেশ কয়েকটি দলের প্রতিনিধিরা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকের সংলাপে ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আলোচনার পরবর্তী ধাপে দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে, বিশেষ করে যেসব প্রস্তাবে এখনো রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি সেগুলো নিয়ে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগে ও পরে ধারাবাহিকভাবে চলবে এই সংলাপ প্রক্রিয়া। কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে, সব দলের সম্মিলিত মতের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসেই একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলিল—‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করা।
সংলাপের অন্যতম উদ্দেশ্য সংবিধান সংস্কার, বিচার বিভাগে স্বাধীনতা, নির্বাচনী ব্যবস্থা উন্নয়ন, জনপ্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য তৈরি করা।
এর আগে সংলাপের প্রথম দফা ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মোট ৩৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন।
এবারের সংলাপকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গুরুত্বের চোখে দেখছেন। তাঁদের মতে, এই উদ্যোগ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি সম্ভাবনাময় মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জন করলে তা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পথচলাকে অনেকটাই সুসংগঠিত করতে পারে।