প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ১৬:২২
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়েই নতুন এক সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে। আপিল বিভাগ রবিবার (১ জুন) হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করে জামায়াতের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ের পুনর্বিবেচনার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশনা কমিশনে পৌঁছালে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ এবং সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করেন। ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মামলাটি নিয়ে বিচার শুরু হয়।
জামায়াত এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কয়েকবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। সংশোধনীগুলোতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ থেকে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ পরিবর্তন করা হয়।
বর্তমানে আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী এই মামলার নতুন বিচার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন অপেক্ষার মধ্যে আছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর দ্রুত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াতের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাই এখনো অনিশ্চিত। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনানুগ প্রক্রিয়ার আলোকে এ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগীয় এই ধাপে জামায়াতের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আলোচনা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও নজরকাড়া বিষয় হয়ে উঠেছে। আগামী সময়ে এই মামলার পরবর্তী অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণ আরও তথ্য জানার আগ্রহ রাখবে।