২০২৬ সালে শেষ গঙ্গা পানি চুক্তি, নবায়নের তাগিদ দিল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৫ অপরাহ্ন
২০২৬ সালে শেষ গঙ্গা পানি চুক্তি, নবায়নের তাগিদ দিল বাংলাদেশ

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এই চুক্তি নবায়নের আলোচনা দ্রুত শুরুর জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার ওমানের রাজধানী মাসকটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।  


দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত এই চুক্তির ফলে গঙ্গার পানি নির্দিষ্ট মাত্রায় বাংলাদেশ পেয়ে আসছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়নে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ চুক্তির নবায়নের আলোচনা শুরু করাটা দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।  


কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, বিশ মিনিটের ওই বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সীমান্ত ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং সার্ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সম্ভাবনাও আলোচনায় উঠে আসে। এসময় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ভারতকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।  


বৈঠকের পর এক এক্স–পোস্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিমসটেক নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়েও দুই পক্ষ মতবিনিময় করেছে।  


এদিকে, আগামী মঙ্গলবার থেকে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক শুরু হচ্ছে। এই বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, চোরাচালান রোধ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  


প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর এটি দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনা। এর আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে তাঁদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়েছিল।  


বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে বক্তৃতা দেন। ব্রুনাই, ভিয়েতনাম ও তানজানিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো উঠে আসে।