প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:১৯
মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর সিআইডি পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে আলামত সংগ্রহ করেছে। সোমবার সকালে ধানমন্ডি থানার উপস্থিতিতে সিআইডি টিম বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে। তবে, হাড়গোড়গুলোর মানবদেহের কিনা তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ধানমন্ডি থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে, তবে সেটা মানুষের না অন্য কোন প্রাণীর হতে পারে বলে তিনি জানান। সিআইডির টিম প্রাথমিক তদন্ত শেষে সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে শুরু হয় ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার কাজ। ওই দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মিছিলকারীরা বাড়ির বিভিন্ন অংশে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং গাড়ি ও বৈদ্যুতিক তার নিয়ে চলে যায়। এরপর, সেখানে গরু জবাই করে বিরিয়ানি রান্না করা হয় এবং জেয়াফত অনুষ্ঠিত হয়।
ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের পর, আন্দোলনকারীরা দুপুরের পর বাড়িটির প্রবেশমুখে ভিড় করতে থাকে। রাত ৮টার পর তারা বাড়িটিতে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এই সময় শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভও ভেঙে ফেলা হয়। পরবর্তীতে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাদের বক্তব্যে জানান, তারা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার কোন অস্তিত্ব রাখতে চান না। তারা বলেন, শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী শাসক এবং তাঁর ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে তারা একত্রিত হয়েছেন।
পরবর্তীতে, ধ্বংসস্তূপে উপস্থিত হলে একটি পক্ষ দাবি করে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির বেজমেন্টে ‘আয়নাঘর’ নামে একটি রহস্যময় স্থান থাকতে পারে। এতে পানি সেচের কাজ শুরু হয়, তবে কিছু না পাওয়ায় দুপুরের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের তদন্তে ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তদন্তের বিস্তারিত এখনও জানানো হয়নি।