সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের পর জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন উশ্যেপ্রু মারমা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) কমিটি তার সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেয়।
এর আগে, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে উশ্যেপ্রু মারমার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তাকে খাগড়াছড়ির চিহ্নিত বর্ণচোরা, দুর্নীতিবাজ, ভূমি দখলকারী, প্রতারক এবং শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিটি তার সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদপত্রে উশ্যেপ্রু মারমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তার ২০২৪ সালের 'ডামি নির্বাচন' এ তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হওয়া। এমন একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর, তাকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কোনো পর্যায়েই সদস্য হিসেবে রাখার প্রশ্ন উঠতে পারে না।"
উশ্যেপ্রু মারমা ২০১৭ সালে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি আঞ্চলিক সংগঠনের ব্যানারে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি খাগড়াছড়ি আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যদিও তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
এছাড়াও, অভিযোগ রয়েছে যে, উশ্যেপ্রু মারমা নির্বাচনে অংশ নিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই কার্যকলাপ জাতীয় নাগরিক কমিটি ও সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, "এ ধরনের কার্যকলাপের পর, আমরা ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকব এবং কোন সদস্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখব যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।"
এ ঘটনার পর জাতীয় নাগরিক কমিটি জানিয়েছে, উশ্যেপ্রু মারমা ভবিষ্যতে কোনো পর্যায়ে তাদের সদস্যপদ লাভের সুযোগ পাবেন না, তবে সংগঠনটি তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী নেতাদের প্রতি কঠোর নজরদারি চালাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।