টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কনসার্টে নাচানাচি নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষকসহ ১৫ পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ভালোবাড়ী গ্রামের স্কুল মাঠে এক কনসার্ট আয়োজন করা হয়। সেখানে নাচানাচি নিয়ে বিতর্ক ও সংঘর্ষে ভালোবাড়ী গ্রামের কয়েক যুবকের হাতে গুলিপেচা ও শিমলাপাড়া গ্রামের তিন যুবক আহত হন। এরই প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
হেমনগর শশীমুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার স্কুলের নবম শ্রেণীর ১৬৫ জন ভোকেশনাল শিক্ষার্থী নারুচী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে মূল সড়কে আসা মাত্রই গুলিপেচা, অর্জুনা ও নলিন গ্রামের প্রায় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা রড, হাতুড়ি, ছুরি, এবং চাকু ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এ সময় শিক্ষার্থী ছাড়াও দুইজন শিক্ষক আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলফি আহমেদ স্মরণ, ইসমাইল হোসেন, এবং রিজভী হাসান রাফী জানিয়েছেন, কনসার্টের দিনের ঘটনার সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। হামলাকারীরা আসামিদের না পেয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিশোধ নেয়।
অভিভাবক আফরীন জাহান এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাই।"
নারুচী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ আখতার বলেন, "দুই গ্রুপই একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তবে তাদের দ্বন্দ্বের কারণে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নিন্দনীয়। ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। আহতদের কলেজ অফিসে আশ্রয় দেয়ার পরিবর্তে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি ছিল, যা করা হয়েছে।"
এ ঘটনায় কেউ এখনো পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।