প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০
আজ, ১৭ নভেম্বর, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জাতির এই শ্রদ্ধাভাজন নেতা। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মাওলানা ভাসানীর জীবন ছিল সংগ্রামের। তিনি ছিলেন এক নির্যাতিত জাতির মুক্তির চেষ্টায় এক প্রেরণাদায়ী নেতা। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠিত আওয়ামী লীগ ছিল তৎকালীন পাকিস্তানের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আজ দিনটি উদযাপন করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হবে কর্মসূচি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ চলছে, যা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমৃদ্ধ। মেলার মাধ্যমে তাঁর জীবন ও আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার কাজ চলছে।
বিএনপিও এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করছে। দলটি দুটি দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ সকালেই দলটির নেতৃবৃন্দ টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর মাজার জিয়ারত করবেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আগামীকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন, যেখানে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন এবং তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দিনটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন, যেখানে তাঁরা ভাসানীর অবদান ও তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
ভাসানী ছিলেন জাতির মুক্তির এক মহান সংগ্রামী। তাঁর সংগ্রাম, সাহস এবং ত্যাগ আজও আমাদের কাছে প্রেরণার উৎস। আজকের এই দিনে, আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, যেন তাঁর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে অমলিন হয়ে থাকে।