প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আট বছর পূর্তিতে নতুন করে সহায়তার আশ্বাস দিল ১২টি পশ্চিমা দেশ। ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাসের যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায়, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
রবিবার দূতাবাসগুলোর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাদের দমন-পীড়নের ফলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে এবং নতুন করে লোকজন আশ্রয় নিতে আসছে।
যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের সহনশীলতার প্রশংসা করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে তারা কঠিন বাস্তবতা মোকাবিলা করছে এবং রাখাইনের নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি অবনতির মধ্যেও দৃঢ়তা প্রদর্শন করছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং সাধারণ মানুষের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন আগতদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় তারা অসাধারণ ভূমিকা পালন করছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেদের ভূমিতে ফিরে যেতে চায় উল্লেখ করে বলা হয়, কিন্তু মিয়ানমারে এখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যাতে তারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরে যেতে পারে। এজন্য বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলোর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
দেশগুলো স্বীকার করে, প্রত্যাবাসনের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ এবং প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে প্রত্যাবাসনের একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। রাখাইনে আরাকান আর্মির ক্রমবর্ধমান প্রভাব বাংলাদেশকে নতুন জটিলতার মুখে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতেও সহায়তা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।