বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বিপৎসংকুল পর্বতশৃঙ্গ 'কে-টু' জয় করা প্রথম বাংলাদেশি ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র 'সেভেন সামিট'জয়ী পর্বতারোহী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নাম লেখান। ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী দেশে ফিরে বুধবার (১৭ আগস্ট) দেশে ফিরে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের রোমাঞ্চকর যাত্রা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ওয়াসফিয়া।
একসময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করলেও পরে চাকরি ছেড়ে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট ফাউন্ডেশন। তারপরই চলতে থাকে পর্বত আরোহণ অভিযান। স্বপ্নটা ছিল বড়, তাই পরিশ্রমটাও ছিল কঠোর। গত ১৭ জুলাই রাতে কে-টুর চূড়ায় ওঠার জন্য যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর মৃত্যুঝুঁকি ও রোমহর্ষক সব অভিজ্ঞতার মধ্যে 'কে-টু' জয় করে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী এভারেস্ট হিসেবে নাম লেখান ওয়াসফিয়া।
বুধবার দেশে ফিরে দুই মাসব্যাপী কারাকোরাম অভিযানের রোমাঞ্চকর যাত্রা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ওয়াসফিয়া। বলেন, ‘সেখানে অনেক ভাঙা মরদেহ আছে। আপনি একটা জুতা দেখবেন, সেখানে একটা পা বের হয়ে আছে। হাত ভাঙা মরদেহ পড়ে আছে। এসব বিষয় অতিক্রম করে আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর এমন পরিস্থিতিতে বারবার মনে হবে–এরপর মনে হয় আপনি।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কে-টু জয় তার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এর জন্য ১০ বছর ভয়াবহসব পর্বত আরোহণ করে নিজেকে তৈরি করেন ওয়াসফিয়া। বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল ২০১১ সাল থেকে। এ জন্য আট বছর নিজেকে বিভিন্নভাবে তৈরি করতে হয়েছে। অনেক বাধা এসেছে। সব অতিক্রম করেই আমি দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসতে পেরেছি।’
১৯৫৪ সালের পর কে-টু তে আরোহণ করা ৪০ নারী পর্বতারোহীর মধ্যে একজন ওয়াসফিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।