সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২।
এ সময়ে বন্যার কারণে নতুন করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৮ জন। এতে বন্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৭৩১ জন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (৩ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের চারটি বিভাগে নিহত ১০২ জনের মধ্যে সিলেটে ৫৬ জন, ময়মনসিংহে ৩৫ জন, রংপুরে ১০ জন এবং ঢাকা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিলেট বিভাগে নিহত ৫৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুনামগঞ্জে ২৮, সদর উপজেলায় ১৮, মৌলভীবাজারে ৫ ও হবিগঞ্জে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেত্রকোণায় ১৩ জন, ময়মনসিংহ জেলায় ৬, জামালপুরে ৯ ও শেরপুরে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে নিহত ১০ জনের মধ্যে লালমনিরহাট জেলায় ৬ জন এবং কুড়িগ্রাম জেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে প্রাণ হারিয়েছেন একজন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৬ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৯ জন। তবে এতে কারও মৃত্যুর খবর নেই।
বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের।
এ ছাড়া বন্যায় ৯৫৩ জনের চর্মরোগে এবং ২২৬ জনের চোখের প্রদাহজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। বন্যায় বিভিন্ন কারণে ৩০৭ জন আঘাত পেয়েছেন। তবে ২ হাজার ১৬২ জন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।