৭৫ এ শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই মার্চ ২০২২ ০৬:০৭ অপরাহ্ন
৭৫ এ শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, ’৭৫ এ শিশুদেরও রেহাই দেয়া হয়নি। ধানমন্ডি যেন কারবালা হয়েছিল।


বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় ‘হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।


শিশুদের সুন্দর ভবিষৎ গড়ার লক্ষে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন নারী ও শিশুদেরও রক্ষা দেয়নি ঘাতকরা। ধানমন্ডি যেন কারবালা হয়েছিল।


তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আমাদের শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে, সুন্দর জীবন পাবে। জাতির পিতা তো শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। আমার ছেলে জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে আমার বাবার কোলে চড়ে খেলতে। বাবার কোলে চড়ে যখন শিশুরা খেলতেন তখন তিনিও একজন শিশু হয়ে যেতেন। এটাই ছিল তার বড় দিক। 


জাতির পিতা না থাকলে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব ছিল না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজও প্রশ্ন তুলেছেন, কোন অপরাধে এই হত্যাকাণ্ড? এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে ‘৭৫ এ কিন্তু শিশুরাও মুক্তি পায়নি। কারবালার দিনেও নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু এই বাংলার মাটিতে যাদের জন্য আমার বাবা জীবনটা উৎসর্গ করেছেন সেই বাঙালিদের হাতে তাকে জীবন দিতে হয়েছে।  


জাতির পিতার জন্যই আত্মমর্যাদা, আত্মপরিচয় ও একটি রাষ্ট্র পেয়েছি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা এই দেশে ফিরে এসেছিলাম আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, এদেশের শিশুদের যেন আমাদের মতো স্বজনহারা বেদনা নিয়ে বাঁচতে না হয়, তারা যেন সুন্দর জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়।


জাতির পিতা শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি ভালোবাসতেন বলেই আমরা যখন সরকার গঠন করি তখনই এই ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করি। 


সরকারপ্রধান বলেন, শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই আমাদের যে সংবিধান দিয়েছিলেন সেখানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তাছাড়া শিশু অধিকার আইন সেটাও তিনি করে দিয়ে যান। সেই সাথে শিশুরা যেন সুরক্ষিত থাকে তার জন্য তিনি বর্তমানের সরকারি শিশু পরিবার গঠন করেন। 


জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমির এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী। এছাড়াও এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনরা।


অনুষ্ঠানমঞ্চেই ১৮ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান এবং মুজিব লোকমেলার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।