২৭ টাকা কেজি দরে ধান কিনবে সরকার, চাল ৪০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে এপ্রিল ২০২২ ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
২৭ টাকা কেজি দরে ধান কিনবে সরকার, চাল ৪০ টাকা

চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশে কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৪০ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।


বৃহস্পতিবার দুপুরে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।


খাদ্য ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আজ থেকে আমরা সারা দেশে একযোগে ধান চাল কেনার কার্যক্রম উদ্বোধন করছি। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সংগ্রহ অভিযান চলবে।”


মিলারদের কাছ থেকে যে চাল কেনা হবে, তার মধ্যে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল।


ধান চাল কেনার ক্ষেত্রে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মাঠ পর্যায়ে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিলিটি) এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের প্রতি আমার নির্দেশনা আছে, তারা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।



“উপজেলা খাদ্য গুদামের লেবাররা বেশি খবরদারি করে। আমি বলব, কৃষক যেন কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।”


মন্ত্রী বলেন, “ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে কৃষকদেরকে নিজেদের বন্ধু, বাবা, ভাই মনে করতে হবে। তারা কোনো ক্রমেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। প্রয়োজনে উপজেলা বা ওয়ার্ড লেভেলের কৃষি সহকারী বা উপ সহকারী কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সহযোগিতা নিয়ে কৃষকের সঙ্গে ধান চাল কিনতে হবে।”


ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা ১৪ ডিগ্রি ধরে কেনা হবে জানিয়ে সাধনচন্দ্র বলেন, তার কিছু কম হলেও সমস্য নাই, তকে ১২ ডিগ্রির বেশি হলে ভালো।


“সেজন্য কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ময়েশচার মিটার দেওয়া আছে। কোনো ক্রমেই যেন কৃষকরা উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার (ওসিলিটি) মাধ্যমে হয়রানির শিকার না হয়। পাশাপাশি এটাও চিন্তা করতে হবে, আমার টার্গেট পূরণের জন্য কোয়ালিটি ছাড়া ধান কিনব, এটাও যেন না হয়।”


মন্ত্রী বলেন, “কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না; ধানে এবং চালে কোন জায়গাতেই করা যাবে না। আমি তাড়াতাড়ি চাল কিনে শেষ করতে পারলে আবার বরাদ্দ পাব- এই চিন্তা করে যেন খারাপ ধান চাল না কে না হয়।”


উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, “ওসিলিটি হওয়ার জন্য যত আগ্রহ থাকে ধান কেনার জন্য তত আগ্রহ কম থাকে, এটা আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা। ধান কেনার সময় সেই আগ্রহটা দেখি না। যেন তারা কোনোভাবেই ধান চাল কেনাতে পিছিয়ে না থাকে সেই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে।


“ডিলারদের হয়রানি না করে ধান চাল সংগ্রহ করতে হবে। মনে করতে হবে এটা একটা সেবা। বরাদ্দ কম না, এক মাসের মধ্যে পূরণ করে দেন আবার দেব।”


বিনা লাইসেন্সে কেউ কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ধান কিনতে হলে তাদের লাইসেন্সে লাগবে এবং যারা ধান কিনবে তারা কোনো ডিলারের কাছে বিক্রি করে সেটা পনের দিন পর পর উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।


“তাহলে কী পরিমাণ ধান কেনা হল, কোন মিলে গেছে সেটা হিসাব থাকবে। এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”