প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২২, ৪:২৫
প্রশিক্ষণের প্রতি সেনাবাহিনীর মূল ফোকাস বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ৫০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম লজিস্টিক এফটিএক্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে বাংলাদেশের সেনা বিশ্বমানের হয়।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেনাপ্রধানের পৈত্রিক ভিটা করফায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। এ অর্জন একদিনে হয়নি। এ অর্জনকে আরও এগিয়ে নিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মান বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদকে করফা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্বাগত জানায় সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন যশোরের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেনসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা।
এদিকে স্কুল মাঠে দুই হাজার গরিব ও দুস্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন সেনাপ্রধান। এসময় তিনি বলেন, সারা দেশে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ চলছে। এ সময়ে আমরা জনগণের কাছাকাছি আসি। শীতবস্ত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম তারই অংশ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, করফা গ্রামে আমার পৈতৃক ভিটা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমি এখানে ছিলাম। দীর্ঘদিন পর এ ভূমিতে এসে ভালো লাগছে।
শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর ওপর নির্মাণাধীন রেল প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, রেল প্রকল্পের কাজটির অগ্রগতি দেখার জন্যই আমি এখানে এসেছি। আমি যতটুকু দেখেছি, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমার মনে হচ্ছে, আমরা সঠিকভাবে এগোচ্ছি এবং সঠিক সময়ে এ প্রকল্প শেষ করা যাবে। রেল প্রকল্প পরিদর্শন শেষে মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান।